ওই হই জৈ ছোটে সব
মহাকাশে মহাত্রাশ কলরব,
ডাকে হাঁকে লাখে লাখে ঝাঁকে  ঝাঁকে  কাল-ভৈরব!
এলো উল্কা ছোটে উল্কা
ধাই ধাই সাঁই সাঁই  ফোটে ফুল্কা!!
নাচে বিশ্ব সাথে শিষ্য
হাঁটে ঠমকি শিশু হাস্য।
এলো উল্কা রাজা দৈশ্য।
যেন কত শত ফুল উড়ছে,
মহাকাশে হেসে ঘুড়ছে,
যত জোরে ছোটে তত
বেগে লেগে রেগে পুড়ছে!!
টানে তারে গানে এ বিশ্ব,
পুড়ে ছুড়ে প্রাণে হলো নি:স্ব।
তবুও সে ধ্বংস নৃশংস,
পেলে হয়ে যাবে কাল-বংশ
তখন ছিঁড়ে খাবে সব মাংস।
সে শত শত শত সহস্র,
মুখে নিয়ে আছে যেন অস্ত্র,
দেহে জ্বলে লাল সুতো বস্র!!
ছুটে চলে বীর সৈনিক
হা-হুতাশ করে দিক দিক,অজস্র।।
সে বিঁষ-বাণ,
ভেঙেচুরে করে খান খান,
কেরে নেয় মোর দিল্ প্রাণ।
ঝাঁকে ঝাঁকে হাঁকে উল্কা,
বেঁকে ডেকে,লাখে লাখে মারে ছক্কা!!
সে উগ্র সে রুদ্র
তবু ছেলে আমি ভদ্র,
মাথাতে রাখি অর্ধচন্দ্র,
বেজে ওঠে রণ মাঠে বীর মন্দ্র!!
রাগ রাগরে,
ভুয়োঁ ভাগরে
ঘুম ভাঙে উঠে জাগরে।।
আমি জাগ্রত অগ্রত বীর সৈনিক,
ললাটে লাল অগ্নির পরা সৌমিক।।
আয় উগ্র ছোটে রুদ্র
ওই উল্কাপিন্ড,
করে ঝঞ্ঝার মত লন্ডভন্ড!!
আসে শূল দন্ড,
বাজে শব্দ করে জব্দ প্রচন্ড।।
যত জেদ ভেদ,
কালো পীত শ্বেত
ভাঙো মহাপ্রাচির  সাধু ঋক বেদ।।
আনো আঘাত,  রণ প্রভাত,
সাথে আছে নাচে চার হাত।
বাজে রণতূর্য
ভালে সূর্য।
আছে চির ধৈর্য বীর্য শৌর্য।
ঈশ্বরের সিংহাসন মন ঐশ্বর্য।।
দেহ গর্জে
মহা কার্জে
লাল রক্ত যেন পড়ছে।
নাচে গাজন
দিবা রাজন
তুমি কে মহাজন?
আয় আয় উল্কামণির ফণী সর্প,
বিঁষে শি্শ দেয় দাহ দর্প।
উল্কা মহাকাশে ছুটে চলে
কভু নিভে তবু জ্বলে,
আছে রুদ্রের ক্ষুদ্র সৈনিক দলে দলে!!

উল্কারে ছুটে যারে
বিশ্বের - দরবারে,
ভেঙে ফেল অন্যায় একেবারে,
উগ্র-শির লুটে যায় সব হারে।।
বাঁধা বন্ধন হারা-অগ্নি মাখা
উগ্র তীব্র উল্কা তেজ মারে!!