এলো মহাবিশ্বের মহা দেবতা
এলো মহাবিশ্বের মহা দেবতা।
ওঠে মহা প্রলয়ের মহা ঝঙ্কার
কেঁপে কেঁপে ওঠে সে কথা!!
যেন শয়তান ইসরায়েল বুকে
ফুটে ওঠে বোমা ধূমকেতু নাগ উল্কা!!
যেন রাগে থরথর কাঁপে ঈশ্বর
সাথে সাত সিন্ধুর পানি হয়ে যাবে হবে হাল্কা!!
ওরে খোদা,
আমি তোরে ছাড়া ভয় করি নাকো কাউকে,
আর ধারি নাকো কারো ধার।
জগতে আমি এসেছি এবার খোদার রুদ্র-অবতার!!
যত শয়তান সেনা নৃশংস জ্বিন ইফ্রিদ
সাথে জাহান্নামের রাজা ওই ইবলিশ।
আজ সব মেরে দিয়ে জ্বলে পুড়ে খেয়ে
মোরে তোরা ফিলিস্তিন দশে দশ দিস!!
ওই আমেরিকা কাকে কি শেখা,
তোর শেখার বুকে আমি লাথি মেরে
জ্বলে উঠি অগ্নি-শিখা।
আমি গাজার বুকেতে কাল ঝঞ্ঝা।
দেখি কে আসে,কে ধরে মোরে সাথে পাঞ্জা।
আমি সংহার ট্রনেডোর মতো ঘোর ঘোর।
সব চমকে ধমকে উড়িয়ে দেই জোর জোড়!!
যেন সেই রাতে বিধাতার বুকে আমি পাপ নিয়ে আসি উড়ে উড়ে।
যেন এক হাতে বিষঁ আর হাতে ভরপুর মদ খেয়ে ইবলিশ হায় যায় পুড়ে পুড়ে!!
ওই দিন দুনিয়ার ঈশ্বর কেঁপে কেঁপে মরে মোর ভয়ে সারাক্ষণ।
আমি শয়তানি সিংহাসনে বসে ডান হাতে কলম বাম হাতে মদের দল নিয়ে হাসি আর ছুটে চলি হনহন!!
আমি আকাশে বাতাসে ঘুরপাক খাই দুলে দুলে শনশন!!
নাচে চকিতে চমকে,
বিধাতা হাকে তোমাদের ধমকে ধমকে,
আর আমি ডাকি মম কে মম কে!!
সব কাঁপে পাপে আমার দেওয়া অভিশাপে শততম কে তম কে!!
নাচে কালবোশেখী ওই রুদ্র চকিতে চমকে!!
ওই বিধাতার সব দোযখে
আমি ছুটি চলে মহা সুযোগে গুজবে,
আহা ডোগ ডোগ মদ খেয়ে আমি আজ খুশিতে প্রভু ভরপুর, আমি হেসে হেসে খোদা ভরপুর।
আমার আরো চাই স্বর্গের হুর
সাথে পাকা পাকা আঙুর!!
বাজে বাজে কাঁপে জাহান্নামের মাঝে শয়তানি সুর।
আমি মদ তোমারে ভালোবাসি ভর ভরপুর!!
সাথে মদ উড়ে আকাশে মম প্রেম ওহে বাতাসে
দোল খায় সাদা সাদা কর্পূর!!
আমি মদের সাগরে ডুব দিয়ে চুষে শুষে খাই ভরপুর!!
তবু এই রুদ্র বক্ষের জ্বালা নাহি মেটে এত সহজে।
রক্ত চাই আরো আরো রক্ত, মদ দাও ঢালো আলো মোর দেহ কর দাহ যে।
ওরে বিঁষ জ্বালা নাহি মেটে সহজে।
আজ আরশের বিধাতা তোমারে চাই কহ যে!!
আমি কি ঈশ্বর নাকি শয়তান
না সাধারণ সৃষ্টি??
আমি অগ্নির কাল রুদ্র অভিশাপ বৃষ্টি!!
যেন বাজে ধূম-তানা-না-না মহানাদ দ্রিম দ্রিম।
ফোটে শত উল্কা বোমার বারুদ বক্ষে রিমঝিম।
তুমি কি জানো আমি বিধাতা তোমাদের
তাহারে যুগে যুগে মদের মত চুষে শুষে খাই।
যদি পাই  তবে হাবিয়া একটু ভাবিয়া গিলে যাই।
অথবারে কত বারে তাহারে,
যেন এক রুপসী রমনীর মত রুপ করিয়া,
আর আমি এক ক্ষুধার্ত পৌরুষ যৌবনের কাম তাড়নায়
তাহার দিকে চাই আর জোরে ধরিয়া ধরিয়া,,
তার প্রেম অঙ্গ আমি খাই ছিঁড়িয়া ছিঁড়িয়া!!
ওভাবেই বিশ্বকে শত শিষ্য কে আমি
ছিঁড়ে ছিঁড়ে খাই দিবা যামী!!
আর তোরা সব অপদার্থ সৃষ্টি
তাকিয়ে থাকো যেন অসহায় দৃষ্টি,
আমি ছুটে চলি এভাবেই সর্বশক্তিমান ঈশ্বর
মম রুদ্র নিঃশ্বাসে বুকে নিয়ে চাপা কষ্ট।
আমি মানি না কো পৃথিবীর আইন
ভেঙে দেই আমেরিকান শত নিয়মের লাইন,
বিধাতার বক্ষ হতে আমার জন্ম ইহাই যথেষ্ট!!
যেন সব ভুল সব মিথ্যে আমি একাই শ্রেষ্ঠ!!
আর পাপ তাপ সব
মহাবিশ্বের মহাকাশে ওঠে হৈ-রব
শোন ভৈরব মোর জৈ-রব,
তোরা ইফ্রিদ কৈ-সব ওরে কৈ-সব,
সব সেনা ছুটে আয় মোর পায় পায় শৈশব!!
ঘুঙুর ঘুঙুর পায় দিয়ে নাচে স্বর্গের শত হুর,
সাথে হাসে শয়তান মদ ভরপুর!!
যেন সে সর্বশক্তিমান,
তোমার কপালে রুদ্র রক্ত বহমান,,
পাপী তাপী সব অভিশাপী তুমি জ্বলে পুড়ে খাও
ডাকি তোমারে করি আহ্বান!!
আসো সর্বশক্তিমান!!
আসো মোদের মহাপরাক্রমশালী আল্লাহ সর্বশক্তিমান!!
তোমারে চাই ফিলিস্তিন যুদ্ধের মাঠে
রণ রুদ্রের সাথে হাতিয়ার খড়গ হাতে
হে খোদা সর্বশক্তিমান!!
করি হে আল্লাহ! আমি কাউকে নয়
করি শুধু তোমারই আহ্বান!!
আয় আয় প্রভু সর্বশক্তিমান!!
আয় আয় প্রভু অসহায় মোরা
দাও চির শক্তি রুদ্র রহমান!!