আজি শ্রাবণের মনের ওই গগনে
বরষার রাতের ঝরঝর লগনে।
সাদা জলও টলমলও
উচ্ছল ছল ছল,ঝরে জল শ্রাবণে।
আসিতেছে প্রশান্তি রাতের এই ভুবনে।
শ্রাবণের প্রলয়েরো প্লাবন
ঘুরে ঘুরে ঝঞ্ঝা আসিবে যে কখন,
নিয়ে যাবে সব ভাসিয়ে যে তখন।
শ্রাবণের মনওউতলা সে হাওয়া
মোর হৃদয়ে বেজে ওঠে বরষার গান গাওয়া।
চঞ্চল ও মনও প্রাণে
নাচিতেছ কলকল জলও শ্রাবণে।
মেঘো পানে চেয়ে রই
শ্রাবণে নিশি রাতে গগনে তে চাঁদ তারা কই।
তাঁহারই ভাবওনায় আমি আনমনা হই।
শ্রাবণের বরষার জলের ওই
টলমল রিমিঝিমি কলরব,
বাজিয়ে যায় জল বীণা হৃদয়ের বাঁশরি সব।
মেঘে মেঘে আজি রাতে
করে মহা গর্জন,
তাঁহারই সানে পানে সুখ দুখ করো অর্জন।
শ্রাবণের রিমঝিম গীতিতে
প্রাণের স্পন্দন ভরে যাবে এই রাতে,
শান্তিরই ঘুম পারি যেন ঘুমাতে,
যা হবে শুধু শ্রাবণ তোমাতে আর আমাতে।
শ্রাবণ এসে যবে চলে যায়,
মনে মনে চুপিচুপি আমাকে বলে যায়।
এসে যাবো এভাবে
মিসে যাবো যেভাবে
বুঝিবেনা তুমি আমার এই স্বভাবে।
হেসে কেঁদে উড়ে যাবো তোমাদের অভাবে।
আমি নিদ্রিত ঘুমের এই স্বপনে,
কথা হবে মেয়ে শ্রাবণ তোমাতে আমাতে
নিশি রাতে জরানো চাদরে একা একা গোপনে।
ললিত নিদ্রিত সুভাষিত ভুবনে।