রাজ-রোষে
রাজ-ললাট রোষিয়াছে
জটা কুন্তলে জ্বলিয়াছে,
ধাউ ধাউ করে অগ্নি!!
মম ধুমধাম করে চিতাগ্নিতে
বিষ-ধূম উড়িতেছে, পুড়িতেছে শিব,
ঘুরিতেছি শিবাগ্নি!!

কী ভাবিতেছো ভাই তুমি
পুড়েতেছি কি এই শিব আমি,
আরে পুড়িনি পুড়িনি,
আনিয়াছি মম-রাজ-রানি শিবানী!!
ওই ধূমকেতু দূত তাহারে আমি
পাঠিয়াছি তব দ্বারে,
সে তো তারে গ্রাশিয়া নিল,ছাড়খাড় করে দিল একেবারে!!

তিন পৌরষেশ এর সর্ব-শক্তি সর্ব-ভক্তি
সবরে ছিনিয়া নিয়ে মহা  সিংহাসনে,
আমি  চির উল্লাসে!!
অগ্নি মাখা বিষ ভুজঙ্গ শিরাঙ্গ
ছুটছে চলে শ্যো শ্যো করি মহাকাশে!!

রাজপুরুষের ললাটে জলন্ত রাজটীকা সূর্য,
চির ধৈর্য বীর্য শৌর্য
আছেরে সব মম রুদ্র তনুতে
জ্বলেরে ঈশ্বরের ঐশ্বর্য!!

তিনেশ এর সর্ব মিলিত
রুপের আমি মহা নূর,
ওই রুদ্র ব্রক্ষা আরে, আর এক চক্রাধারী শ্রীবিষ্ণুর!!
রুদ্রাগ্নী বিষ্ণু-বহ্নি জ্বল ব্রক্ষানল,
ললাটের লালাগ্নি খানি উগ্র তেজে জ্বলে,
কি আছে কি নাই মুখ,মুক্ত করে বল!!

তাই যে আমার অহংকারী-শির মর্ত্যে চায় না ভাই,
কত মানব কত কি বলে,
আমি আরো যে শুনতে চাই।
শেষে তিন ঈশ্বরীকে এক-রমনীতে রুপ দেই,
ক্ষণে ক্ষণে তাঁর চন্দ্র তনু হতে
সর্ব সুখ ভোগ করে আমি ছিনিয়ে নেই!!

জগৎ অধর্ম বিনাশে
স্রষ্টা হয়ে সৃষ্টির রুপ ধারন করিয়া আমি,
চার হস্তে চক্র-শঙ্খ পদ্ম-গদা
মহাকাশে ছুটছে সদা,রুদ্র এিশূল দিবাযামী!!
রুদ্র শিখার রুদ্র দন্ড,
রুদ্র সহসা বিশ্ব অক্ষে,
মহামায়ার ওই অহংকারী রুপ
সব লুটে মম বক্ষে,
ছাড়খাড় এই মর্ত-শাহারা স্বর্গ সবিতা লক্ষে!!

ওই বিশ্বেশ্বর সে তো অভিশাপ-পাপ!
আহ্ রে কেঁদে কেঁদে মরে ব্রক্ষালোকে অসংখ্যা,
আজ কে দেবে তোরে - এই নিশি ভোরে
মহান স্রষ্টা বলিয়া আখ্যা!!
হেরে ভগবান, মৃত্যু তো তোর আমার কাছে
এই অগ্নি - ক্ষণে করবে কে তোরে রক্ষা!!
আহ্ রে ভাগ্যবান ভগবান
পরমাত্মা কে সে??
আমি বলি এলোকেশে হেসে হেসে,
হাসি পায় হিয়া-মম
হেসে মরি কারে ধরি প্রিয়তম!!

দম্ভ জগতের অশুভ অধর্ম বাড়িয়া গিয়াছে আজি,
তাই ঈশ্বর ও অধর্ম বিনাশে বড় অশুভ হতে যেন আজ রাজি!!
ঐ মহাকাশে আজ ডাকে
বিষ বহ্নি নাগ লাখে লাখে
ওই অশুভ হাঁকে ঝাঁকে ঝাঁকে,
বাজে শব্দ মহানাদ রুদ্র ছন্দ,
বিশ্ব পাতাল মাতালের মত গর্জে ক্ষুদ্র মন্দ!!

তাই তো বলি ভাই
ভাবিয়া ভাবিয়া মরে
লাভ হবে নাকো আরে,
এসেছি জগতে বেয়াল্লিশ ইবলিশের চেয়ে ভয়ানক অভিশাপ তব-দ্বারে!!

মম এই শিব লিঙ্গে,
মহা প্রেমের মিলন কামবাসনা তব সঙ্গে!!
সর্ব লাজ-লজ্জা আমার চরণে দিয়ে বলী,
আরো কত যে দিতে চায়, কত স্বর্গ ললনা
আমি মৃদু হেসে হেসে ওগো বলি!!

শিবাগ্নী অগ্নি কুন্ডলী
আজও ছুটি, অগ্নি নিঃশ্বাসে
মন্দিরে দাড়িয়ে বিষ্ণু-ভগবান
দূর্গার হাত ধরে কাঁদে দেখো মোর এাশে,
স্বর্ণাগুনের সিংহাসনে কে সে?
বাম পায়ের উপর ডান পা নাচিয়ে
আমি  মহা উল্লাসে!!
ওই হাসে ওই আসেরে
অধর্ম বিনাশে,
প্রলয়ও মহা বিশ্বাসে
যত অশুভ অসত্য গ্রাসে
প্রতি শুভ সত্যের নিঃশ্বাসে!!

আমি  অগ্নি উল্কা উল্লাসে
আমি ধাই ধাই করে কাল গ্রাসে
আমি রুদ্র রুধির রক্ত পাপের
সাত রাগ সিন্ধুর বুক কাঁপিয়ে,
শিবাগ্নীর রুদ্র ঘূর্ণির মতো
মহাবিশ্ব মহী ঝরঝরে করে ছাপিয়ে,
শেষ অন্তে স্বর্গ মর্ত্যে  চরণ দিয়ে,
অথবা হাসি, বা নরকর পরি ঝাঁপিয়ে!!!

আর তোদের ঈশ্বর নাকি নব-ভগবান
আহ্ সে তো নাবালক বালিকার মত,
মরিয়াছে ডুবিয়া হাবিয়ায়
আমার পূর্ণ পুরুষ যৌবন রয়েল রুদ্রের মুখে শত!!

তাই তো আমি হেসে হেসে করি উল্লাস
তুরি দিয়ে দিয়া নেই জোর নিঃশ্বাস,
সর্ব সার্থের উর্ধ্বে উঠিয়া মনও মম চির শান্ত,
সকল সৃষ্টি চেয়ে রয় বিশ্বয়
আমি শিবাগ্নী আগুন সত্য তেজে আজও জলন্ত!!
আমি দুর্দান্ত দুরন্ত দুর্দমনীয় অসীম অন্তীম অনন্ত!!