এলো মেঘেরো নন্দিত বন্যা।
জেগেছিল সে রাতে কুমারী কন্যা।
জেগে জেগে দেখেছিল কত সপ্ন।
না শুয়ে শুয়ে শুনেছিল মোর সে গল্প।
না ভেবেছিলে মোর কথা কিছু অল্প।
আমি তো তোমারে ভেবে ভেবে
ঘুমাইনি কত রাত।
দেখিনি তো ওই সুন্দর প্রভাত।
দেখেছি তো কালো আঁধারের ঘণ ছায়া।
দেখেছি তো তোর মুখের জাদু মহামায়া।
সে দেখা শেষ হবে না কভুও।
মোর আঁখি জোড়া দেখে যাবে তবুও।
আমি প্রাণও মাঝে ভরে রাখি আজও তোমারে,
মনে কি পরে সে বিকেলের খুনসুটি বেদনা।
আমি নিচু মুখে ভয়ে ডরে ঠোঁট কেঁপে বলিতাম,
ওগো তুমি আর কেঁদো না।
মনে ওগো পরে না আর কি সে কথা,
সব ভুলে গেলোও ভুলিও না
মোরে দেওয়া সে ব্যাথা।
আজি কালো মেঘেরো বন্যা বহিছে
দেখো নিশি রাতে গগনে।
কেনো মেয়ে এলে না তুমি মোর প্রেম লগনে।
আজি মেঘেরো ঘণ ধারা বহুক ভুবনে।
ভিজে যাও তুমি চোখ,মুছে দিও যন্ত্রনা এ জীবনে।
আজি তাল ও তমালে বনেরো ডালে
লাগিল হিমেলো হাওয়া এ ক্ষণে।
আমি তোমারে পাবো নাকি পাবো না
জানি না মোর এ মনে।
আজি প্রাণো ছন্দেরো তালে মন
কেন জানি না বাজে সারা ক্ষণ।
কেন রিমিঝিমি বাদলেরো ধারা
আজ ঝরিছে মরুভূমিতে।
কেন জানি আজ এই রাতে তোর মুখখানা
ঠোঁট লাগিয়ে যদি পারিতাম চুমিতে।
কেন ঝরে জল ওই জলহারা মরুভূমিতে।
তবে থাক পরে থাক।
সে সব ভুলে যাক।
কবিতার ছন্দ মাথাতে খায় ঘুরপাক।
তবু আজ কবিতা লিখতে মন চায় না।
তার প্রেমে ডুবে যেতে কোন গান পায় না।
একবার দেখি তোরে,
তবে ঘর ছেড়ে চলে আয় না।
আজি মেঘেরো বন্যা জমে আছে আকাশে।
মেঘ নামে রুপসী কিশোরী ভেসে আছে বাতাসে।
তাই তোর নামে গান, গাই আমি চিরকাল।
ভালোবেসে মাতাল আমি, হয়ে যাবো বেসামাল।