তোমার সোনার চুলে বাঁধল খোঁপা
দেখতে লাগে যেমন শিমুল চাঁপা!!
বাঁকা ঠোঁটের চন্দ্র হাসি
আর হেসো না মোর রূপসী।
তুমি কি জানো,
তুমি রোমাঞ্চকর আকাশের নিশি ঘণ চাঁদ।
তুমি বিকেলের গোধূলি লগ্ন,
কভু আবার শিশির মাখা প্রভাত।
তুমি মোর বসন্তের ঘুম দুপুরের কোকিলের
মিষ্টি সুরের ডাক।
তুমি শীতের সকালের ভেজা ভেজা গায়
মহারানী গোলাপ!!
এসব তুমি কিছুই জানো না,
কারণ,
চোখ সব দেখতে পায়,
শুধু নিজেকে দেখতে পায় না।
আমিই তোমার ওই না দেখা রুপের আয়না।
যেমন অচেনা কোন বনের পাখির নাম হয় ময়না।
তারে এনে দিতে পারো যদি ধরো তুমি আমার কাছে বায়না।
তোমার ওই হাসি দেখে,
আমি কোটি বছর অপলক দৃষ্টিতে তাকিয়ে রবো
নিশ্চুপ।
যখন দেখে কাজল কালো চোখ, আর ওই মায়াবী মুখ।
তবুও ভয় হয়
ওগো ভীষণ ভয় হয়,
মনের মাঝে কেন এত সংশয়।
যদি তোমারে না পাই শুধু এই এক ভয়।
আমার সত্যি তোমায় নিয়ে খালি ভয় হয়।
এটাই মনে হয় ভালোবাসাময়, প্রেমওময়।
ভালোবাসা এমনই এক সুন্দর অনুভূতি,
যে অনুভূতির কারণে,
মহান স্রষ্টার সিজদায় গিয়েও
তাঁর কোন এক সুন্দর সৃষ্টির কথা ভেবে
মুচকি হাসি পায়!!
আরে সে মরে লজ্জায় হায় হায়!!