ওরে মোর রুদ্র সেনা
তোদের ওই প্রলয় ঘাতে মোদের ধ্বংস চেনা
ধ্বংস চেনা।
এ মোর আপন দেহের রক্ত দিয়ে ছন্দ কেনা!
তোরা মোরা দূর্গা রানির বাংলা ধ্বনির
রুদ্র সেনা - রুদ্র সেনা।
জগতের দুষ্ট দানব
ওদের ওই নষ্ট হাসি কেঁড়ে নে রুদ্র মানব!
বাজারে প্রলয়-নিনাদে অগ্নি-মুরালি
স্বর্গের রুদ্র শিশু দেয় যে জোরে ঝঞ্ঝা তালি।
নাচের ওই নৃত্য তালে
সপ্ত সিন্ধুর হৃদয় জলে,
ঘুর্ণিঝড়ের তাপ-অগ্নি জ্বলে
সপ্ত সিন্ধুর লক্ষ কোটি বিন্দু জলে,
প্রলয় প্রেমের জোর নয়নের অগ্নি জ্বলে!!
সর্বগ্রাসী,
আহারে এইযে সিংহি হাসি।
ওহে তুমি মোর মধুর প্রেমের জাদুর বধূ দূর্গা দাসি!
সে যে মোর প্রলয় নেশায় সর্বনাশী।
আমার এই রুদ্র রোষা
নরকের অগ্নি শোষা,
সব যাতনার কারণ তুমি,
তোমার ওই চোখের জলে ভিজে যায়
আমার নবীর মরুভূমি!!
বল মানি না
আমি সত্য নিয়ম ছাড়া আর কোন আইন,
ভেঙে ফেল কাল ভৈরবী রুদ্র সেনা
বিশ্ব কেনা, মানব ধ্বংসেরই মাইন!!
গানের ওই ছন্দ রোষে
বেদনায় রুদ্র কুমার নরক শোষে
আপন দোষে - আপন দোষে,
তা দেখে মোর বধূ বৈরি হাসে
পাগল হয়ে, দুখ বেদনার অগ্নি শ্বাসে!!
রুদ্র সেনা - রুদ্র সেনা
বল মোরা রাজ-রাজাদের মান মানি না,
আপন সত্য ছাড়া কোন গান জানি না!!
রুদ্র সেনা - রুদ্র সেনা
তোদের ওই প্রলয় ঘাতে মোদের ধ্বংস চেনা
এ মোর আপন দেহের রক্ত দিয়ে ছন্দ কেনা!!
তোরা মোর বাংলা-ধ্বনির
বর্ণমালার পূর্ণ- জ্বালার,
ঐ পঞ্চাশ অগ্নি-অক্ষরে গাঁথা রুদ্র সেনা।
এ মোর হৃদয়ের রক্ত দিয়ে
ছন্দ কেনা ছন্দ কেনা!!