অগ্নি অগ্নি, অগ্নি।
আমি রুদ্রের রুদ্রাগ্নী,
অসত্য-বিশ্ব ধ্বংস করিয়া চলিয়াছি মহেন্দ্র ভগ্নি!!
আমার ললাটে প্রদিপ্তমান চির রুদ্র-যৌবনের রাজ-ব্যাখ্যা!!
ধীরে মহা ধীর
রুদ্র শক্তি বীর
আমি সৃষ্টি প্রভুর রুদ্র - অগ্নির!!
রুদ্রায় নম নম ওম-মম
বিশ্ব ভুবনে নাহি কেহ আমার সম!!
আমি নির্ভয় কাল দুর্জয়
আমি বিশ্বের চির সংশয়
আমি বিধাতার নামে অক্ষয়
আমি  ঝঞ্ঝার মত রাগ ভয়!!
আমি লর্ডরুপ,আমি ভগবান মহাবিষ্ণু!

আমার নেই কোন কেউ অংশ,
মহাপ্রলয়ের আমি হুংকার
ঈশাণ-শঙ্খের রুদ্র বিনাশ ধ্বংস!!
আমি খোদার সৃষ্টির ঐশ্বর্য
মরু কিশোরের শত ধৈর্য।
আমি সাত-সর্পের মাঝে
হাতে তিন মহা মোহ এক চক্র,
যবে পাশে রুপসী,তবে মহাকাশে শশী বক্র!!
আমি ঈশাণে-কৃষাণ
         প্রলয়ে -বিষাণ
জগতের আমি রুদ্র-নিশান!!
সত্যের জয়  সৃষ্টি  জিসান!!
জয় জয় পুরুষোত্তম জয়
কে বলে তরুণ দুর্জয় নয়,
স্রষ্টার মত নির্ভয় হয়
সত্যের কাজে মৃত্যু শয়,
চির যৌবন তাঁর মহেশ্বর কয়!!
তারা প্রেম ছাড়া কিছু বুঝে না
ভালোবাসা ছাড়া কিছু খুঁজে না,
প্রেমের জন্য তাদের জন্ম
প্রেমর ত্বরেই মহা মৃত্যু!!
মোরা বুক ফেটে হেসে
বুকে ডেকেনি  কাল- শক্র।।

আমি নির্ভয় কাল দুর্জয়
আমি বিশ্বের চির সংশয়
আমি বিধাতার নামে অক্ষয়
আমি  ঝঞ্ঝার মত রাগ ভয়!!
আমি সিংহের ডাকা হাঁক ডাক
জলও ঘুর্ণির ঘোরা বায়-পাক,
মহা  উল্কার দল ঝাঁক ঝাঁক
চোখ সিন্ধুর মত হিন্দোল বাঘ,
দেহে জ্বলে কাল-ভৈরব রাগ!!

আমার ভয়ে ভাবিয়া ভাবিয়া,
জ্বলে নিভে ওই জান্নাম হাবিয়া!!
বাজায় মনও প্রাণ প্রলয়-বীণা,
রুদ্র-রোষে মম গর্জে বাসুকি
মর্ত্য মহীতে নৃত্য করে তাধীন-ধীনা!!
আজি মহাসত্য
করে শুভ- ঝঞ্ঝার মত নৃত্য
নাচে মম চিও নাচে নিশি নিত্য
হাসে বিশ্ব এলো একি সাহিত্য!!
জয় ধ্বনি দাহ অগ্নি,
জয় জয় মম রুদ্রাগ্নী।
অসত্য বিশ্ব ধ্বংস করিয়া চলিয়াছি মহেন্দ্র ভগ্নি!!
অগ্নি অগ্নি, অগ্নি।
আমি রুদ্রের রুদ্রাগ্নী!!

মহা পরাক্রমশালী বেপরোয়া সে,
            পরোয়া করে না কাহোর
            দাদন    ধরে না কাহোর।
ঐ বিশ্ববিধাতারি আমি পূজারি,
ভগবান ডরে - ভয়ে কেঁপে কেঁপে মরে
এসেছে জগতে কাল-রুদ্রাগ্নী আমারি!!
আমি তো ওই রণ-যুদ্ধের মাঠে
         পিতা-হারা শত শিশুর বুকফাটা জ্বালা কান্না,
আমি অভিমানে কাঁদি সারা রাত,
                   জানো কি হিয়া-মুন্না!!
জানি জানি আমি জানি হে খোদা,
এ মোর চোখের জল তোমারও কাঁদা!!
তুমি কি দেখোনি ওই শিশুদের ফুপিয়ে ফুপিয়ে
                     কাঁদার হা-হুতাশ আহ্ কি চিৎকার,
আমি তো আর সহিতে পারি না,
              বাজাই তবে মহাপ্রলয়ের বিষাণ
                          দিয়ে দেই মহা ফুৎকার!!
ওই ইহুদি দানবের রক্তে ভরপুর হবে সিন্ধু,
মিশে যাবে সব অন্যায় হায়,উঠিবে প্রেম ইন্দু!!

তাই আমি
বিরোধিতাকারী বিদ্রোহ করি
বিশ্ববিধাতার পক্ষ হতে জগতে,
ইশারায় ছোটে রণে চক্র-এিশূল
প্রেম-ভালোবাসা আনিবে প্রভাতে!!

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~

রুদ্রাগ্নী-টিকা:  যে অগ্নি অসত্য বিশ্বের বিরুদ্ধে
                        সিংহের রুপ ধারণ করে
                      ও রুদ্রের মত গর্জন করে,
                        তাকেই রুদ্রাগ্নী সাহিত্য বলে।
                        আমিই সত্য-সাহিত্যের রুদ্রাগ্নী!!
বি:দ্র:-
এই কবিতাটি দয়া করে অসহায় ফিলিস্তিনি শিশুদের জন্য বেশি বেশি শেয়ার করে দিবেন।।
দা তেজ অফ রুদ্র!!