(সংক্ষিপ্ত কবিতা)
জগৎ স্রষ্টা নহে আমি
           আর নই আমি জগদীশ্বর,
ঈশ্বর ওই মহেশ্বর স্রষ্টা আমি
তথা বিশ্ব মর্ত্যে আমারি পূজারি
আজি উঠিয়াছি আমি মহাপুরুষ- ঈশ্বর!!
মহাবিশ্বের চির-বিশ্বয় অবিনশ্বর
ওই হই আমি নই মহানন্দা হাতে শ্রীকৃষ্ণ পরমেশ্বর!!
মহসত্যের সত্য মর্তে নিত্য সারা মহাবিশ্বয়,
আমি চকিতে চমকে ধমকে ধমকে
স্বর্গে মর্ত্যে আরশ নরকে ধমকিয়া যাই সব ভয়,
আমি মহা পৌরুষ,ওই ঈশ্বর-স্রষ্টা
তামাম বিশ্ব-নিখিলের আমি চির-সংশয়!!

তাই বলি কে সত্যে, আর কে মিথ্যে??
তা আমি জানি না,
আমি যা জেনেছি ভাই।
বল
সর্ব-উর্ধ্বে সত্যোম পুরুষোত্তম-সত্য
আর আমার উপরে নাই!!
ওই রুদ্র-যৌবন তেজে
আমি জ্বলে পুড়ে জেনেছি তা-ই,তাই!!

মম যবে,
গৃহ হারা পথও শিশু
বৃদ্ধ পথিকের কান্নার রোলে
এই মম হৃদয় ধ্বনি অভিমানে বাড়িবে না।
অত্যাচারী স্বৈরশাসকের কর্কশ কন্ঠ
রণ-যুদ্ধের দামামা বিশ্ব মহীতে আর বাজিবে না।

বিশ্ব ভুবন হতে আমি সেইদিন হবো ক্ষান্ত,
যেদিন নিয়ে যাবো সব অশান্তি দুঃখ অসত্য-রণ ভ্রান্ত।
আমি রুদ্র ছন্দের রাজা রাজনন্দন,
ললাটে জ্বলে সত্য সুন্দর লাল-চন্দন,
আমি করে দেবো বিশ্ব-জগৎ চির অচিরেই মুক্ত-স্বাধীন,
আর ভেঙে দেবো আছে যত বাঁধা বন্ধন!!
আমি কিশোরীয় বিধি, আমি কিশোরীয় বিধি,
ভয়ে কাঁপিতেছে তোদের ভগবান-ঈশ্বর নিরবধি,
তাঁর প্রভুত্ব জোর শোরগোল করে,
কেঁড়ে নিয়ে নেই পুরুষ - ঈশ্বর আমি যদি!!

মহাবিশ্বের আমি চির মহারথী-সারথী,
পুরুষ ঈশ্বর রুদ্রবীর।
অসত্য বিশ্ব আমারি নতশির!!