__________________________

পুরুষ - ঈশ্বর আমি
বিশ্বের আমি চির রুদ্র বীর
অসত্য বিশ্ব আমারি নতশির!!
মম তনুতে চির যৌবন প্রাপ্ত রুদ্রাগ্নী জ্বলে
জ্বলে মহাধ্বংস মর্ত্যবাসীর,
আমি চির রুদ্র বীর
অসত্য বিশ্ব আমারি নতশির!!
আমি প্রলয় ঘটিকায় আমি ঝটিকা
আমি সংহারী আমি টর্নেডো আমি ঝঞ্ঝা,
পুরুষত্ব শক্তি দিয়া ধরিয়াছি
ঈশ্বরের সাথে কর-পাঞ্জা!!
আমি রুদ্রবীণার তালে তালে
নাচি ভগবান-ভালে নৃত্যে,
রুদ্র - রুদ্র রুপ আমি
মহা সর্বনাশ করিতে আসিয়াছি ফের মর্ত্যে!!
আমারি অভিপ্রায়ে আমি মানি নাকো কোন বাঁধা বিধি,
এই দুনিয়া বিশ্ব-সমাজের আইন-কানুন আছে যত নিয়ম নিধি,
সারা বিশ্বের মানব দানব ভগবান-শ্রীমান এক পাশে
আর পাশে চির বিশ্বয় একা আমি!!

আমি মিশরের কিশোর,আমার হাশরে বাশর,
আমি দোযখের অগ্নি-এাশণ,মহাবিশ্বের আমি মহাভয়,
আমি অগ্নি ঝড়ের বেগে আসি জোর কর তালি দিয়ে বিশ্বে,
করি চির অগ্নি - ঝঞ্ঝার মত সব আলোময়!!
আমি চির স্বর্গীয় বাণীতে একবার যাহ করি হুকুম জারি,
ভয়ে মানব দানব দেবতা নতশির হয়ে দাড়িয়ে যায় সারি সারি!!
ওই মহা উত্তাল সাগরের মাঝে ডুবে ডুবে যায় শিশু
তাহার জননীর বিষ বেদনা দেখা
আমি ওই কষ্টের চোখের চাহনি,
আমি সমগ্র স্বর্গ মর্ত্য পাতাল,মহা মাতালের মত কাঁপিয়ে  চলি
অগ্নি উল্কা - নীহারিকা শনি!!
রই আরশে আজিম,থাকি ঈশ্বরের সিংহাসনে ঘাপটি,
ধরি মৃত্যুর দূত যমরাজ আজরাইলের গলা ভীষণ জোরে ঘরঘর করে চাপটি!!

আমি বিশ্ব-মানবের উপর দাঁতে দাঁত দিয়ে
যবে উগ্র রাগে হয়ে যাই চির উন্মাদ,
এাশে মহাকাশে চন্দ্র সূর্য গ্রহ তারা ফেটে ফেটে
ওই মহা-চঞ্চল সপ্তসিন্ধুর খুলে যায় অসীম-বাঁধ!!
আমি ছল শিশু, আমি চির চঞ্চল,
আমি বিশ্ব ভুবনের ঘাট।
আমি ঝলওঝলও ছল-আমি ঝঞ্ঝার রুদ্র জলও ঝঞ্জাট!!
আমি রুদ্র ভগবান বক্ষে মাদল বাজাই
ঝমঝম ছমছম করে দেই থমথম,
সারা শনি বুধ গ্রহ বিশ্বে।
আমি সোনার তরীতে উঠিয়া উড়ে যাই
ইন্দ্রপুরী জয় করে মহাবিশ্বের মহা শীর্ষে!

আমি ভয়ে মহাভয় আমি দুর্জয়
খোদার সৃষ্টির আমি চির অভিশাপ,
আমি পাপে মহাপাপ
বিশ্ব- নিখিলের আমি মহা অভিশাপ!!
আমি ছন্দে ছন্দে রুদ্রানন্দে হেরিয়া ফিড়িয়া
ঘিরিয়া ঘিরিয়া, ছুটে চলি মহাএাশের হাসি হাসিয়া,
স্বর্গ নরকে মর্ত্যে বাঁধিয়া।
তবে ওই মহাভয়ংকর ইবলিশ শয়তান
ডরে ডরে দেয় কাঁদিয়া, কর করেকরে দেই শাসিয়া।
আমি দুষ্ট বালক তখন মহা-উল্লাসে
মিটিমিটি খলখল করে যাই হাসিয়া!!

মম চিওে চিত্তে,
ঘুড়ি গোল অগ্নি বৃত্তে মর্তে
লাগে যখন যাহা ভালো
করি তাহা নাচি নৃত্যে নৃত্যে!!
আমি মোহ ভুবনে রাবণে প্লাবন,আমি দশানন,
আমি মহামারী রাজরোগ আগুনের বাঢ়ি বন্যা।
আমি ঈশ্বরের রাজটীকা  ভেঙে নিয়া আসিবো
        আমার হৃদয়ের প্রেম কন্যা!!
        আমি পঞ্চমুখী-নাগ সপ্তসিন্ধুর মাঝে
        চির যৌবন প্রেমিক রুদ্র-সুন্দর সাজে,
        বাজাই সোনার প্রেমের বাঁশরি।
        মম বাঁশরির সুরে সুরে নাচে
        মোর প্রেমের লক্ষী-কিশোরী!!

আমি মদার্ণবের সাত-সাগরে
তরী বেয়ে বেয়ে যাইয়া
আমি ভরপুর মদ খাইয়া মাতাল হইয়া,
বিশ্বের আমি রুদ্র, সবার প্রাণের প্রিয় ভাইয়া!!
আমি মোর প্রিয়র প্রেমে ভরপুর মদ খাইয়া,
মদ্যে বিষ্ণু-প্রিয়ার পদ্ম ফোটাই
             চকিতে-চমকে সহসা-নয়ন চাইয়া!!
আর ছুটে চলি আমি শিব-শিশু
                        ছমছম করে তা তা ধাইয়া।।
হ্যা ভাইয়া!! হ্যা ভাইয়া!!
এসেছি আমি ভরপুর মদ খাইয়া মাতাল হইয়া!!

আজি একি আনন্দ, কি আনন্দ!!
আমি চিনেছি আমারে আজিকে আমার
        মিটে গেছে সব দ্বন্দ্ব!!
খুলে গেছে মোর রুদ্র-যৌবন তেজে হৃদয়ের-দ্বার
যতশত ছিল এতদিন বন্ধ,
আজি একি রুদ্র-আনন্দ!!

আমি ছন্দে ছন্দে উগ্রানন্দে
ছুটে চলি মহাবিশ্ব দ্বন্দ্বে!!
আমি জাহান্নাম- আমি দোযখ
আমি নরকে বসিয়া মহা উল্লাসে করি প্রেমাগ্নী ভোগ,
আমি শোকে মহা শোক
ওই প্যালেস্টাইন উৎপীড়তো নিপীড়িত বাসীর
বুক ফাটা মহা কান্নার বিষ-জ্বালার আমি চোখ,
অনাহারী বৃদ্ধের ক্ষুধার চিতাগ্নি-দাহ আমি
তাহার ফোঁপানো ডুকরানো মায়া মুখ,
এই হৃদয়ে রুদ্র প্রলয়াগ্নী জ্বলে নাইরে মম-সুখ!!
আমি  এি-জগতে একা চলি বলি জ্বলি নি:সঙ্গ,
আমি জাতিসংঘ ন্যাটো দুটোই
জোর লাথি মেরে মেরে একাই করি ভঙ্গ ,
আমি স্বর্গের শিশু ছমছম করে নাচাই তনু-অঙ্গ!!
আর আমি বিবেকের বুকে লাথি মেরে মেরে যাই,
আমি আবেগের প্রাণে, ইস্কের মদ আরো আরো চাই।।
পাই পাই পাই, আরে তুই অভিশাপ-শয়তান
                                  পৌরুষ তোর মরণ নাই!!
আমি তো রুপসী ললনার ছলনার প্রেম
তার কালো অলকের জলতরঙ্গের সুগন্ধের
ওই উর্মির হিন্দোল দোল দোল ঢেউ।
আমি থৈথৈ অথৈ করে চলি নিখিল বিশ্ব
সামনে পিছে নাহি মোর কেউ!!
আমি উদার ঈশান হাটে মাঠে ঘাট
আমি মহামায়ার ওই ছায়াময়ী বট,
আমি স্রোতস্বিনী শৈবলিনী ঝরঝরে
আমি নির্ঝর, আমি নির্ঝরীনির ঘট।
আমি সব!! আমি সব!!
আমি উন্মাদ হাওয়ার মতো উড়ি
করি জগতে অভিশাপ ক্ষ্যাপা বজ্র নাদের মত কলরব!!

আজি মোর রুদ্র রাগে
বিশ্ব দ্বিখণ্ডিত হবে ভাগে ভাগে
ফাগুনের আগুনে বসে বাজাই আমি বাঁশি
রাবণের চিতা বুকে জরায়ে হাসিতেছি শিশুর মধুর হাসি!!
আমি ভয়ও ডুম ডুম, আমি ডুম বার।
আমি প্রলয় দোলায়
অভয় অজয় আমি,
ধূমকেতু আমি ধূম ধূম, আমি ধুম মা'র!!
চির অমর পৃথীর শান্তির সমর আমি
জগৎ সংসার জ্বলেপুড়ে করি ছাড়খাড়,
মহা আতঙ্ক ভূমিকম্পের মতন
বিশ্ব ভুবন তুরি দিয়া দিয়া করি চুরমার!!

জগৎ স্রষ্টা নহে আমি
           আর নই আমি জগদীশ্বর,
ঈশ্বর ওই মহেশ্বর স্রষ্টা আমি
তথা বিশ্ব মর্ত্যে আমারি পূজারি
আজি উঠিয়াছি আমি মহাপুরুষ- ঈশ্বর-অবিনশ্বর!!
ওই হই  আমি নই পরমেশ্বর!!
মহসত্যের সত্য মর্তে নিত্য সারা মহাবিশ্বয়,
আমি চকিতে চমকে ধমকে ধমকে
স্বর্গে মর্ত্যে আরশ নরকে ধমকিয়া যাই সব ভয়,
আমি মহা পৌরুষ,ওই ঈশ্বর-স্রষ্টা
তামাম বিশ্ব-নিখিলের আমি চির-সংশয়!! 

তাই বলি কে সত্যে, আর কে মিথ্যে??
তা আমি জানি না,
আমি যা জেনেছি ভাই।
বল
সর্ব-উর্ধ্বে সত্যোম পুরুষোত্তম-সত্য
আর আমার উপরে নাই!!
মম যবে,
গৃহ হারা পথও শিশু
বৃদ্ধ পথিকের কান্নার রোলে
এই মম হৃদয় ধ্বনি অভিমানে বাড়িবে না।
অত্যাচারী স্বৈরশাসকের কর্কশ কন্ঠ
রণ-যুদ্ধের দামামা বিশ্ব মহীতে আর বাজিবে না।

বিশ্ব ভুবন হতে আমি সেইদিন হবো ক্ষান্ত,
যেদিন নিয়ে যাবো সব অশান্তি দুঃখ অসত্য-রণ ভ্রান্ত।
আমি রুদ্র ছন্দের রাজা রাজনন্দন,
ললাটে জ্বলে সত্য সুন্দর লাল-চন্দন,
আমি করে দেবো বিশ্ব-জগৎ চির অচিরেই মুক্ত-স্বাধীন,
আর ভেঙে দেবো আছে যত বাঁধা বন্ধন!!
আমি কিশোরীয় বিধি, আমি কিশোরীয় বিধি,
ভয়ে কাঁপিতেছে তোদের ভগবান-ঈশ্বর নিরবধি,
তাঁর প্রভুত্ব জোর শোরগোল করে,
কেঁড়ে নিয়ে নেই পুরুষ - ঈশ্বর আমি যদি!!

মহাবিশ্বের আমি চির মহারথী-সারথী,
পুরুষ ঈশ্বর রুদ্রবীর।
অসত্য বিশ্ব আমারি নতশির!!


‌‌‌‌‌