নব-অগ্নির বেশে
আসে হেসে হেসে
কে সে? কে সে?
এলোকেশে নাচে চির দুর্দম মহা দুর্দম।
মহাকাশে বাজে বাজা গীত হরদম,
শেষে নিঃশ্বাসে রোষে শোষে কার - দম।
আয়রে তাথিয়া তাথিয়া
ধ্বংসের নেশাতে মাতিয়া মাতিয়া,
নব-অগ্নির ফুল গলাতে গাঁথিয়া গাঁথিয়া!!
সে মহামতি প্রলয়ও বিশ্বাসে হাসে
আর নাচে তা তা থৈ থৈ,
কাঁপে সাথে গিড়ি মরু তরু দোলে অতি-হিমাদ্রি
পাতাল-চাতালে মহানাদ বাজে মাঃভৈ!!
হারে রে রে হরি মরি হই হই!!
শিশু শৈশব,
দেহ লক্ষে- তনু বক্ষে
পোড়ে চিতায় কাল-ভৈরব!
ওরে কই সব? ওরে কই সব?
দেখে যারে আজ মোর সেই শৈশব।
কাঁপে মহাপাপে ধূর্জটি মহেশ্বর,
ফোঁশে রাজ-রোষে ফণি-ঈশ্বর!
ওরে সৃষ্টি তোরা কই সব?
ডুবে যায় আজ পাপে অথৈ ভব,
হা-হা চিৎকার শোন হে জৈ-রব
ঘোরে পোড়ে কাল-শক্রু কাল-ভৈরব!!
নব অগ্নির গীত ধর রে
সাধু-সন্ন্যাস পীত পর রে
হারে রে রে ধরে কারে,
পদ তলে পিষে মারে
মরে ভীতু পৌরুষ মৃত কারাগারে!!
ওই মহা জনগণ মনে
নেই কোন ভক্তি নেই কোন শক্তি
আশা নেই উন্নত শির বলে পাবে মুক্তি,
মদ খেয়ে বারবার দেখাবে কে যুক্তি?
হিটলার আইনস্টাইন নিউটনও উক্তি!!
পাপে চাপে লঘু তাপে দেয় করা চুক্তি।।
তার চেয়ে ভালো ঝঞ্ঝা,
প্রাণ যাবে মন যা,
সব ভেঙেচুরে দিয়ে খলখল করে হাসে হাআ হাআ!!
অসুর পশুর হীত কুকুর শুকুর
রক্ত খাবি যদি খা খা,
মৃত্যুর পর পড়েনিস মোর রুদ্রীয় ধাঁধা!!
প্রাণও মাঝে বাজে মহা অগ্নি বীণা,
নাচে সাথে দুহাতে এই রাতে বিঁষ-ঘৃণা!!
উথাল পাথাল বিশ্ব মাতাল নাচে তা অধীন ধীণা,
ওই সবই চেনা সার্থে সবই কেনা,
থাক পরে থাক কালো কাক নৃশংস সেনা।।
নব অগ্নি আসে মহাকাল যুগে যুগে
পিষে মারে মহামারী রাজরোগে
যত পাপতাপ ভোগে শোকে
নিকৃষ্ট কষ্ট জ্বলে সাতশত দোযগে!!
নব অগ্নির যুগ এলো ধরণী মাঝে
অশুভ প্রতীক স্বস্তিকা পুড়ে ছাই সাজে,
বাজে বাজে প্রেম ভালোবাসার গীত তরুণ-তরুণী মাঝে!!