ঘোলাটো ললাটে মন্থন
মন্থিলো মা মৃওিতে,
আজ সদা সাদা শুচি সত্য
উঠিলো জয়ও ধ্বন ধরিএীতে।
বিশ্বের সব দুস্কৃতি নথ-নথি যাক মুছে,
যত বেদনা অবুঝ বোধ ব্যাধি
চির অহ্নের বহ্নি ক্রন্দন অশ্রু বারি যেন যায় ঘুছে।
আজিকে আলোক মণি পড়ুক মহাপৃথ্বীতে,
ধরি যত পিয়াস আছে যা সব ওই মৃওিতে।
মহানন্দের মাটি ও রয়েছে যেন ভয়ে থমকে,
বিশ্বের সব মানবের কর্কশ বাণীর ধমকে!
আজি নাহি হয় মহা মা মৃওিতে
সুন্দর ফুল ফল ঝরা বৃষ্টি।
কেহ নাহি দেখে শান্তির দেখা শুচি নব দৃষ্টি।
তাহাদের বলনে চলনে,চরণে হরণে
ধরনে মাটি আজ বিঁষ মিশ্রিত।
তাই তোদের হিয়া মুখ যেন কালো কালো
দেখতে কি যে বিশ্রত।
মাটির উপরে যত রয় ঘাতক খাতক
হয় মহা পাতক,
ভুবনে পালক দেখে চুপ করে আছে যেন চাতক।
মৃওির বনে দাবানল জ্বলে হুতাশন মহা তেজে।
এ হুতাশন নাহি জ্বালিয়েছ অর্ষমা
জ্বালিয়েছে মৃওি শয়ং নিজে।
মাটির প্রতিবাদ মাটি সে করে,
মানব চার না যে আর তাই সে মারে।
মাটির আশা
মহা আশা, চায় পৃথিবীতে ভালোবাসা।
মাটির হাড়িতে রস ভরা সুঘ্রাণে থাকে মধুপ ভাসা।
পর্ণীর হাওয়ায় শীতল ছায়ায়,
ঘুমিয়ে রবে-শালিক ময়না সবে মধুর বিভায়।
ফুটিবে নূতন ফুল উঠিবে শিশুদের দল সব,
চোখ মেলে শুনিবে কত সুমধুর কলরব।
সখা সখী ঘুরিবে নবীন ভূমে চরণ ফেলে,
দেখিবে কত পাখিদের দল উড়িছে ডানা মেলে।
ঘোলাটো ললাটে মন্থন
মন্থিলো মা মৃওিতে।
আজ সদা সাদা শুচি সত্য
উঠিলো জয়ও ধ্বংসের ধরিএীতে।
গগনতলে বাগানে থাকিবে পাখ -পাখালির মেলা।
প্রজাপতি হাওয়ায় দুলে দুলে
নরম ঘাসের উপর কত যে খেলা।
মোহ আসিবে যবে মৃওিতে মউভরা,
তখন মৃওির মন্থন মা, মন্থিবে না ললাটের ওই দলা।
ভুলিয়া উড়িয়া চলিবে
জলে ভিজে থাকা কিশলয় পাতার পএটা।
সেই ভিজা কিশলয় ভরিবে জলে
শত বছরের জল হারা ঐ কলসিটা।
মাটির আজ মহা সাজ,
সাজিবে কত অটবী পর্ণী নিয়ে।
বহিবে বাতাস মিটেবে পিপাস
বায়ু জল আলো দিয়ে।
মোহ মনে আজ বহিছে রঙিন বাতাস,
উড়িছে কোন কিশোরীর এলোকেশ
             করিছে হা হুতাশ।
মিষ্টি ধ্বনি মৃষ্টি ঘ্রাণে
আমি চলিয়াছি আজি মাটির প্রাণে।
আজ লাগাবো নদীর মাটি মোর দেহ রঙ্গে।
অশুচি নহে এ মাটি  যদি লাগলো মোর মম অঙ্গে।
লাগিলো যদি তবে ধন্য হলো মোর সব সঙ্গে।
দুঃখ আর নাহিরে ভাইরে।
বাহির হও শান্তির মৃওি যে এবার চাইরে।।