মহাকালে
জ্বলে লালে,
নাচে দুর্দম  চির-উওম,বলে বব্-বম
তালে তালে।
মহাবিশ্বের  কালো ভালে!!
রণ শক্তির যত ভক্তি
দিবে আজকে কেবা মুক্তি।
ওরে চঞ্চল মনও ঝণ ঝল
মহামায়ার রোষি কুন্তল,
প্রেমে মগ্ন নিভৃত অঞ্চল,
দোলে কোলে সিন্ধুর জল।
মোর গানে প্রাণে
সে কি জানে,
নাকি রুদ্রের স্বীয় মানে।
মহাকালের তরি চলে,
আলোর কণা জলে।
অসীম মহাশূন্যের অতলে।
আমি কে তুমি জানো?
নাহি যদি জানো
তবে বলি তুমি শোনো,
তোদের আমি বাপ
লোকে বলে অভিশাপ,
মহাকাল আমি, কভু শীতল কভু তাপ।
মহাকাশের নক্ষএ
সে আমার দান পএ,
কেউ হয় কভু মোর ছাত্র,
দিনে দিনে কত ঋণে ভরে সে পাএ।।
আরো শুনবি দিন গুনবি
তারপরে মোরে মানবি।।
স্রষ্টার আমি লগ্ন,
আঁধার কভু নগ্ন,
কভু মাতি মদে মগ্ন।
হিয়া ভাঙি করি ভগ্ন।

তুমি জানো আমি কে,
তবে ডাকো  কে কাকে?
যে সময়
সে ঘুমায়
ডাকো তখন তুমি আমায়,
মহাকাল তখন তিমিরে খায় ঘুরপাক,
কৃষ্ণ গহ্বর টানে  তারে ঝাঁক ঝাঁক!!

স্রষ্টা মহাকালের ভিতর দিয়েছে হার,
দিয়েছে মহাবিচারের ভার,
কভু সে মহাকাল হাসায়,
কভু কাউকে কাঁদায়।
এই নিয়ে মহাকাল ছুটে চলে মহা উল্লাসে,
আজ যে তোমারে এাশে,
কাল দেখিবে মহাকাল তারে আঁধারে মত গ্রাসে!!
ঐ এলো এলোরে,
কাঁপে গ্রহ তারা থরওথর
ভেঙেচুরে পুড়ে পুড়ে গেলোরে।
সে কি ঠমকি
তুমি চমকি
চুমু ধমকি
মম নাম কি??
তব দাম কি??
সব চমকি চমকি!!
লালে লাল
নীলে জাল
শোন হে মহাকাল,
মদ খেয়ে বেসামাল
নেই তার কোন তাল,
দেখিবে না অবলাল!!
মস্তিষ্কের নিউরন
ছুটে চলে শন শন,
ছন্দে নেই মন,
ঘুম আসে সারাক্ষণ।।

সব দোষ মহাকালে,
ছুটছে তালে তালে।
ডানা কাটা পাখি তুই
সুতা আছে নেই সুই।

থেমে যা থেমে যা।
এসেছে ধী-রাজা।
সেজেছে একি সাজা,
প্রাণ বীণা তো বাজা।।


হয়ে যাক না বন্ধ,
নেই তাতে মন্দ,
ঘড়ি আর না দেখি,
কাব্য না লিখি,
শুধু থাকি একাকী।।
নেই কোন সু-সখী।

হা-হা হো-হো
হে মহা মহাকাল,
থেমে যারে এবারে
নাকি দিবো খাবি গাল।
থেমে যারে মহাকাল!!

মহাকালের ঘড়ি ঘোরে ব্যোম বলে দ্রিম দ্রিম,
হাসে কেহ কাঁদে কেহ, নাচে মম হিয়া রিম-ঝিম!!
আজি এলোরে ঐ চির সুন্দর,
ভেঙে ফেল মহাকাল, নিশির অন্তর!!