সে কভু শয়তান, কভু ঈশ্বর,
কভু ঝঞ্ঝার মতো প্রলয় নৃত্য নৃত্য,
ঘুরিয়া বেড়ায় স্বর্গ পাতাল মর্ত্য!!
শিব-শয়তান,
রাজ-রুদ্র বিষ্ণু-বক্ষ ছেদিয়া ছেদিয়া চলে
সাত-আসমান আরশ ভেদিয়া ভেদিয়া বলে,
চির চলও চলও ছলও চঞ্চল,
শনি মঙ্গল যায় পেড়িয়ে
সর্ব জগতের সব অঞ্চল!!
সে কভু মহা ঝঞ্ঝার মতো করে সঞ্চার,
সে বার বার সে দুদ্দার চির দুর্বার,
যাহা পায় তাহা লাথি মেরে মেরে করে চুরমার,
আর অশুভ রাহু-গ্রাসের মতো
আমি রুদ্র অভিশাপ,
বিশ্ব নিখিল জ্বলে-পুড়ে করি ছাড়খাড়
জগদ্বীশ্বর রুপে,
আমি প্রভু এিভুবনে আসি একবার!!
সে কভু শয়তান, কভু ঈশ্বর,
কভু মহা অভিশাপ এই বিশ্বোর।।
কভু উগ্র - উল্লাসে, আল্লাহ সে,
যবে হেসে হেসে ছুটে চলে মহা গগনে,
ভয়ে ভয়ে কাঁপে তেএিশ লক্ষ দেবতা-ভগবান
সপ্ত-নরক হাবিয়া লাজা হোতামা সেই লগনে,
সে ছুটে চলে যবে উগ্র-উল্লাসে মহা গগনে!!
সে কভু শয়তান, কভু ঈশ্বর,
কভু ঝঞ্ঝার মতো প্রলয় নৃত্য নৃত্যে,
ঘুরিয়ে বেড়ায় স্বর্গ পাতাল মর্ত্যে!!
কভু, প্রভুর অভিশপ্ত সখা ইবলিশের
ঘোলাটে ললাটে এঁকে দেয় পদ-ছাপ,
কভু সাত-সাতশ সূর্যের চেয়ে হয়ে যায় মহা -তাপ।।
সে শিশু
সে স্বর্গের শিশু যীশু,
সে কভু ছল-মায়াবী মোহ শশী হাসি শিশু!!
সে ইন্দ্র-জালের বাঁশরির সুরে সুরে
নাচায় কালনাগিনী বিঁষ-বাঘিনী
রুপোলী রুপসী কিশোরী কুমারী,
আর মহামায়া মহতী গুণে তাঁর অলক-শুমারি!!
সে কভু স্রষ্টার পাপের হওয়া কাল-সৃষ্টি,
কভু মহামায়ার ওই ডাগর লোচন দৃষ্টি।।
সে ছল সে মায়া,
সে কভু অগ্নি ঝঞ্ঝার মতো চির চঞ্চল ছায়া।
সে আসে যবে পাপ বিনাশে
মহাবিশ্ব কাঁপিয়ে কাঁপিয়ে মহা লগ্নে,
স্বর্গের দ্বার- নরকের মা'র
ভেঙে ভেঙে যায় সব ভগ্নে!!
সে কভু, সে কভু-
প্রভু।।
সে কভু শয়তান তবু!!
সে কভু মহা ছলনার বেশী ইবলিশ,
সে তো বলিয়া দিয়েছে
বিশ্ববিধাতা ছারা এমাথা করে না কভু কুর্নিশ!
সে কে?সে কে?
জন্মিয়াছে অশুভ লগ্নে এই মর্ত্যে,
তা-ধুলি তা-ধুলি মাদুলি বাজায়ে আসে স্বর্গ নরক গর্তে!!
সে অভিমান করেছে,তাই সে অভিমানী
ওই বিশ্ব রানির ওপর,
সে অপমানিত হয়েছে আপন হিয়ার ভেতর!!
সে মহা অভিমানে
ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কাঁদে
পঞ্চ-বয়সের এক-অবুঝ ছেলের মত।।
আর তাঁহার আঁখির জলে
অগ্নি সিংহ জ্বলে
নরক জ্বালা শত!!
সে অভিমানী ওই জগৎ স্রষ্টার ওপর,
এই রিক্ত হৃদয় আহত অনিষ্টের ওপর।
আর সে অভিমান করেছে
গৃহ হারা যত পথও শিশু
বৃদ্ধ অনাহারী পথিকের কান্নায়,
সকল লাঞ্ছিত উৎপীড়িত মানুষের বেদনায়,
তাই সে মহা ঝঞ্ঝার মতো করে সঞ্চার
সে বার বার সে দুদ্দার চির দুর্বার,
যাহা পায় তাহা লাথি মেরে মেরে করে চুরমার!!
আর আমি রুদ্র অভিশাপ
বিশ্ব জগৎ রুদ্রাগ্নীতে জ্বলে পুড়ে করি ছাড়খাড়!!
জগদ্বীশ্বর রুপে
আমি যুবরাজ এিভুবনে আসি একবার,,
সে ব্যাধি তো ব্যাধি,
অসীম প্রাচীর ভেদি
আমি কাল রুদ্র জেদি,
বল
জয়ে জয়ে শাহ্
রুদ্রেশ শাহ্-রুদ্রেশ শাহ্
জেদ অগ্নি শাহ্
হা-হা হাহাহা
জেদ রুদ্রেশ শাহ্!!