আমি ওই চির চঞ্চল
ডাকি চকিতে চমকি
আয় চলে আয় ঠমকি ধমকি,
রুদ্রের নাচ বম্ বলে গমকি গমকি,
হে ঈশ্বর! তুমি জানো কি?
জানো কি??
আমার কথা বিশ্বাস করো মানো কি,
চির চঞ্চল জগতে আনো কি আনো কি??
ঝণ ঝণ বাজে চির চঞ্চল!!
ঝণ ঝণ বাজে চির চঞ্চল!!
রণ ঝংকার তুলে অহংকার হে অঞ্চল!!
ঐ গগন ফেটে চির চঞ্চল
ছোটে দুর্দম পুরুষোত্তম জয় ঝণ ঝল!!
মুখ উদ্যমে জ্বলিয়াছে তার আগুনের শিখা
কপালে জ্বলজ্বল করে বিশ্ববিধাতার টীকা!!
হাঁকে সব দুর্দম চকিতে চমকি
সহসা বাতাসে ধমকি মম কি??
ওকি নাকি সেকি মহা জয় ধ্বনি বাজে
ঐশী পুরুষের মাঝে ওই হৈ হৈ,
বাজে দেখো কাল ঝঞ্ঝা মাঃভৈ ভৈ!!
নাচে চকিত চমকে উঠে প্রলয় পাথারে
লালোল্লাস ধ্বনি বাজিছে নাচিছে তাতাথৈথৈ!!
সে মানে না কোন বিধাতার বিধি,
নিয়ম কানুন, জানে না কো কোন শৃঙ্খল,
চরণে তাঁহার বাজিছে দামামা
সারা বিশ্বের সে রুদ্র মঙ্গল!!
নাচে ঈশান কোণে রুদ্র চকিতে
ঠমকে চমকে চির উচ্ছৃঙ্খল!!
ললাটে তোমার জ্বলে তৃতীয় আঁখি,
গালে শিশুর মতো টোল পরা হাসি,
ধূর্জটি জটায় আগুনের শশী
পাশে ভয়ংকর কালিমা কালি
নাগ-নগিনী শুভ সর্বনাশী!!
কিশোর রুপ তোমার ওই মুখাননে
শান্ত সুন্দর বন যেমন গভীর কাননে,
দুচোখে ভরা যামিনী চঞ্চল,
চির চঞ্চল হেরে চির চঞ্চল,
ভেঙে দাও মোর মন বল, বল মোর মন চল!!
সে বিধাতার বুকেতে শিশু রপে লালিত পালিত,
অসীম মহাবিশ্ব যেমন যুগে যুগে প্রসারিত চালিত!!
শোনা যায় কি,চকিতে চমকি,
যায় চলে যায় ঠমকি ধমকি,
মম রুদ্রের নাচ গমকি গমকি!!
ওই ঝণ ঝণ বাজে
চির চঞ্চল ঝণ ঝণ বাজে,
রণ ময়দান মাঝে, মহাযুদ্ধের সাজে!!
সে সর্বনাশের সর্বনাশী,
বাজে তার দুই ওষ্ঠের মাঝে অগ্নি বাঁশি,
পিছন ফিরে আড় নয়নে দেয়রে হাসি,
হে সর্বনাশী!!
রুদ্র নাচের অগ্নি তালে
বিশ্ব তোমার চরণ তলে
ডুবে যায়রে রবী অসীম জলে
দেখ্ হৈ হৈ রব ওঠে অগ্নি জ্বলে!!
আজি ওই আসে
দেখ্ রে এই রাতে,চির চঞ্চল।
চকিত চমকে ধমকে ধমকে
কেঁপে কেঁপে ভাঙে দিন দুনিয়ার পাপ-অঞ্চল!!
ঐ আসে হাসে ঠমকে চমকে চির চঞ্চল!!
যে শক্তি, যে তেজ, যে রুদ্রোত্তাপ,
আমার পুরুষত্বের পুরুষে।
সেই তেজ নেই তোদের শিবের শূল শ্রীবিষ্ণুর চক্র, আর আপনাদের ঈশ্বর যীশুর ওই ক্রুশে।
যে উত্তাপ জ্বলমান আমার ললাটের পুরুষোত্তম পুরুষে!!"