আমি আমি, আমি
আমার আমিতে নেই কোন তুমি,
নেই সে, নেই মোরা আমরা আপনির বাণী।
নেই রাজা নেই রাজনীতি, নেই কোন রাণী!
আমার আমিতে শুধুই আমি
আমি -আমি -আমি
আমি, আমি ছারা বুঝি না কিছুই দামী!!
আমি, আমাকে ডাকি শ্রেষ্ঠ,
ওই দেবতা ঠাকুর তাহাদিগকে বলি পাপিষ্ঠ।
আমি যদি হই সর্বশ্রেষ্ঠ,
তবে কুরআন -পুরাণ মোর তত্ত্ব!!
আমি যাহাই বলি তাহাই আইন
তাহাই সত্য, তাহাই নিয়ম, তাহাই নীতি,
আমার চরণের তলেই এসে লুটায় প্রীতি,
অহংকারী চন্দ্রের আলো,যখন আমার হয়
পূর্ণ তিথি!!
যদি কেহ বলো
এ আমার অহংকারী অহমিকা,
আমি তোমাদের মুখ সম্মুখে বাজাবো তুরি
আর আমার ললাটে জ্বালাবো অগ্নি-শিখা!!
আমি যদি বলি,
আমি সব পারি, সব মারি,
সব বুঝি, সব জানি,
আমিই আমিত্ব।
তবেই চিনিবো আমার বিধাতার মহাসত্য!!
তুমি নিজেকে কেন কর ছোট,
ওই মুর্খ রাজার পহরি হয়ে
তার পিছে কেন মুখ ছোট করে হাঁট!!
তুমি চলো হেলিয়া দুলিয়া রুদ্র ছন্দ চরণে,
আমি উন্নত চির উগ্র শিরে বলো
আর আনন্দে মৃত্যুকে নেও বরণে!!
আমি আমি আমিই,
তবে তুমি কি?
আরে ভাই, আমি এই শয়তান কবি হতে আসি নাই।
আমি মহাকবি নই
ধনে-ধ্যাণে জ্ঞ্যাণে-মানে, আমি খোদা নবী নই!
নই আমি মহা দেবতা - নই আমি চির ঈশ্বর,
আমি তো পুরুষোত্তম-সত্য রুদ্র বিশ্বে
আর তুমি মানব নশ্বর!!
আমি আমি আমি,
আমি যদি হই সত্যোত্তম সত্য
তবে বিশ্ব নিখিরে সেই স্বত্বার চেয়ে কে আছে আর দামী!!
আমি বিশ্ববিধাতার বক্ষে হানা দেই,
সিংহারশ ডাকে আমাকে
বলে তোমা জন্য কোন মানা নেই,
তবুও আমি ওই প্রভু বুকেই হানা দেই,
আর যে এই আমারে যত ভালোবাসেরে
তার বুকেই আমি পদাঘাতের বিষ বেদনা দেই!!
চির যৌবনও মোহ সেই দেহ,
আমার আঠারো বয়সে পুরুষত্ব-সত্য করে দাহ!!
তাই আমি যাহা বলি ভাই,
সৃষ্টি হয়ে স্রষ্টার গুণে দেখিয়ে দিয়েছি তাই!!