স্রষ্টার পাপ
আর সকল সৃষ্টির তাপ,
সব মিলে যেন আমি মহা-অভিশাপ!!
হ্যাঁ! হ্যাঁ!
আমার ললাটে প্রদীপ্তমান,
চির রুদ্র যৌবনের রাজকীয় শান্
আমার দেহেই রুদ্র-রক্ত বহমান,
বিশ্ববিধাতার নামেই,আমি রুদ্র-রহমান!!
হ্যাঁ! আমিই রুদ্র-কান্ত ছল-মায়া
উমাই আমার প্রিয়া,
এসেছি জগতে খোদার পদওধুলি ললাটে নিয়া!!
আমি ঐ এিভুবনেশ্বরের বরে
জন্মিয়াছি সুত রুপে মানবের ঘরে!
যত আসি যত হাসি
যত থাক রাজ-ঈশ্বর টীকা,
জ্বলুক যত এই ললাটে অগ্নি-শিখা
এর হেতু বিশ্ব শান্তির মহা লেখা!!
দেখুনি ওই কাল-রাতে যবে এসেছিলাম
করেছিলাম ভর,
ওই চপল-তরুণ নজরুলের ওপর
রুদ্রমূর্তিতে আঘাত হানে চির-বিদ্রোহী
উঠেছিল তাই বিশ্ব বাংলায় ভয়ংকর,
প্রলয়োল্লাসের লেলিহান অগ্নি-ঝড়
মানব শান্তি ডেকেছিল চির-উন্মাদ কিশোর!!
তাকে দিয়েছিলাম সেই রাতে
অগ্নি মাখা রুদ্রাগ্নী লেখনী কাল-হাতে,
সেই মহাবিশ্ব মহা-নাদে
কেঁপেছিল যত মহাকবি
ওই সূর্য রবি তাতে!!
ফের দেখুনি,
এসেছিলাম ভরদুপুরে কিছু ক্ষণের জন্য
ওই তোদের অগ্নি পুরুষ মুজিব কন্ঠ মাঝার,
তাঁর বজ্র নিনাদে- মানব প্রেম কেঁদে
করে দিল জান মান প্রাণ সব উজাড়!!
শুধু বাংলায় নয়,
দেখেছো তো হলোকাস্টের মহাভয়।
ষাট লক্ষ অশুভর প্রাণ কিভাবে করেছি হরণ,
আর ওই এডলফ হিটলারের
মন মাঝে করেছি যবে চরণ,
প্রলয় নেশায় পাগল হয়ে সে মৃত্যুকে করে বরণ!!
হ্যাঁ! হ্যাঁ!
আমরাই দুজন "রুদ্রোমা" দোল দিয়া,
এসেছি জগতে খোদার পদও ধুলি ললাটে নিয়া!!
হে প্রভু রহমান,
মুক্তি দাও! মুক্তি দাও!
না হয় তুমি আমায় আমার
অসুর দানব বিনাশ রুদ্র-অমর শক্তি দাও!!
আমায় আমার প্রেম রমনী নয়ন মণি
দূর্গম দমন রানি দূর্গা দাও!!
তোমার প্রতি প্রেম পরশের ভক্তি দাও।
মুক্তি দাও! মুক্তি দাও!
আমার রুদ্র-মন্ত্রের, সেই রুদ্র-অমর শক্তি দাও!!
যবে শত সূর্যের মত হবে প্রজ্বলিত
মহাবিশ্বের ঈশ্বর রহমান মম ললাটে,
তূর মহেন্দ্র মহীধর -
রুদ্র নূরে জ্বলে পুড়ে ঝরওঝর
দোযখের আগুন জল হয়ে যায় কভু ঘোলাটে!!
হবে হবে প্রজ্বলিত মহাসত্য মম ললাটে!!