বাজারে তোরা অগ্নি-বাঁশরি,
নাচেরে থৈথৈ ওই হই
দূর্গম বিনাশ দুর্গা কিশোরী!
এক হাতে শূল-পাণি
এসেছে কাল-রানি,
ঝড় ঝঞ্ঝার মতো তার ওই মহা-রুপ খানি!!
মহাকাশে ভাসে তার ওই এলোকেশ,
সে এলোকেশী, সে রুদ্রের শশী,
মহা-রূপসী প্রেমের ফুল তাপসী
তারে ভালোবাসি, তাই বাজাই অগ্নি বাঁশি!!
বাজরে তোরা!!বাজারে তোরা!!
আগুন শুষে প্রেমের জোশে
প্রেমিক পুরুষ মোরা।
রই কাল নিশিতে শিব-সতী জোড়া জোড়া।।
নেমে এসেছি মহাপ্রেমের টানে
নাচি ধরাধামে ঝড় ঝঞ্ঝার গানে।।
ওই অসুর বিনাশে
মোরা জোড়া শিব-সতী আসে
প্রলয়ও তো হাসে বিশ্বের সব পাশে,
মহা বিশ্বাসে হাসে
প্রতি নিঃশ্বাসে সব গ্রাশে,
সে মহা উল্লাসে এাশে।।
বাজারে ওই অগ্নি বাঁশরি,
নাচে মোর প্রেমের কিশোরী,
এলো সুন্দরী, নাচান নাচান গান ধরি।।
ওই ঈশ্বরের বক্ষে,
তার শব-তনু লক্ষে
বিষ্ণুর চক্রের শেষ অক্ষে,
আমি ছমছম করে,করি কাল-নৃত্ত।
কাঁপে পাতাল মাতাল সাথে উথাল-পাতাল
ছলছল এই চিত্ত।।
ওই লাল গগনের ঈশান কোণে
ঝণ ঝণ ঝণ বাজে নূতন রণে,
এলো কোন রুপোলী রুপসী কিশোরীর বেশে,
এলোকেশে মেয়ে হেসে হেসে,
নেচে নেচে নীলকন্ঠ ভালোবেসে।।
আজি বাজারে জগত জুড়ে
অগ্নি বাঁশরির সুরে সুরে,
নাচো আজ প্রাণ খুলে সুদূর উড়ে।।
অগ্নি বাঁশরির সর্বনাশা নব সুরে!!