আমি মহাকালে সর্ব কালে
বিশ্ব-জগতের অন্তিম ভালে
                 করি আবির্ভাব,
ফের জনম নিয়াছি আমি
আর আনিয়াছি বিষ জ্বালাময়ী অভিশাপ!!

আমার চির উগ্র-যৌবনে
যত রাজ-রাজকীয় ও রুদ্রানন্দে,
মম ললাটে বিধাতার চার-চরণ জ্বলে
                  স্বর্নের মত অগ্নি ছন্দে!!

যত সুখ যত দুখ
বিঁষ জ্বালাময়ী ভরা বুক,
ঐ স্বর্গ-নরক কি
বিধাতা খুলে খুলে দেখুক!!
যত বিশ্বয় তত ভয়
যত চির চেনা প্রিয়ময়
তবু কেন মনে রয় সংশয়,
আজ খুলিয়া যাবে সব
হয়ে যাবে মহাজয়!!

মনে মোর যত ছন্দ
যত রাগ-অভিমান শত দ্বন্দ্ব,
শ্রাবণের প্লাবণ,আর ঝঞ্ঝার উল্লাস-আনন্দ
খুলে দাও হৃদয়, রাখিয়াছ কেন বন্ধ!!

আজি বিশ্বের মানবের যত মনও ভাব
আছে কত পাপীদের দাহ পাপ,
জয় করিব বিশ্ব আমি
করিয়াছি আবির্ভাব।
নিয়া আসিয়াছি ললাটে করে রুদ্র-অভিশাপ!!

আমি জয়ও জয়ও জয়ও দাহ ঝঞ্ঝা,
উড়ি মহাকাশে, করি নেচে নেচে
                    বলি হা-হা।
আমি রুদ্র জয়ের শুভ ঝঞ্ঝা!!

ষোড়শী নন্দন
আমি দু:শাসন, হবো কিশোর ছেলে।
ঝণ ঝণ ঝণ,নিক্বণ নিক্বণ
চপলা-দামিনী মেয়ের ভালোবাসা মনে পেলে!!
তাই আমি ছন্দ কে বলি ভালোবাসি
আর অন্ধ কে বলি কালো দাসী।

এ মন চায় এ প্রাণ চায়
যাহা চায় তাহা সব পায়,
বিধাতা আমায় সব দেয়
মম ভালোবাসা শুধু নেয়,
         আমি যা চেয়েছি
                  তা পেয়েছি!!
আমি বার-বার আবার
               রুদ্রাবীর রঙে করিয়াছি আবির্ভাব,
আর আনিয়াছি ললাটে করে
সত্য-সুন্দর আমার রুদ্র অভিশাপ!!
                         হে মুহাম্মদ,
আমি পাগল ছেলে উন্মাদ!!
আমি চিনেছি আমারে যে রাতে
ওই দোযখের আগুনে ভরা মদ হাতে,
এই এিভুবনে মিটে গেছে মোর সব-সাধ!!

আমার এই তিন আঙুলে যে শক্তি,
সেই শক্তি দিয়ে তোদের বিশ্ব-প্রভুকে
                   আমি দিতে পারি চির মুক্তি!!
আমি জোশে রোষে
ওই শত দোষে হেসে
ভুলে যাই প্রভু আমি কে?
জনম যখন হয়েছে মর্ত্যে
তবে বুঝে নিবো প্রভু তুমি কে!!
          
শয়তান সে তো পায় পিষে মারি,
সাথে ভগবানকেও রোষে দিতে পারি!!
শয়তানও ডরে মোরে
ভগবান ও ভয়ে কেঁপে মরে,
ডরে মহাবিশ্বের সব সৃষ্টি।।
মম তৃতীয়-নয়ন জেগে আছে
শুধু দেখিবার লাগি শেষটি!!
আমি অগ্নি-উল্কা বৃষ্টি,
সত্য-সুন্দর উত্থান হবে দেখে নিও তুমি দৃষ্টি!!