এই দেশে জন্ম মোদের
এর বাতাস মিশেছে আমাদের শ্বাস প্রশ্বাসে।
এর আলো ছায়ায় বেড়ে উঠা,
তবু ও কেন মোরা বলতে পারি না,
এই দেশ আমার, এই দেশ আমাদের?????
একই জলে পিপাসা মেঠাই
একই মাটি গায়ে মেখে মোরা হই বড়,
তবু কেন এত সম্প্রদায়,
এত সংখ্যা গুরু, সংখ্যা লঘু ভাগ কর??
মানুষ আমি, এটাই আমার
নয় কি বড় পরিচয়???
ধর্মই যদি মনুষ্যত্ব শেখায়
তবে সেই শিক্ষা কেন এত ঠুনকো হয়??
কেন আমার বিশ্বাস ভাঙে কাঁচের মত?
কেন হাজার বছরের সম্প্রীতি ভাঙে?
কেন মোরা বিবেক বর্জিত?
কেন এত ঘৃনা জন্মে জননী তোমার প্রতি??
একই জঠরে জন্ম যদি হই গো মা
তবে এত দ্বিধা কেন দিতে অধিকার?
আমরা ও যে সন্তান তোমার!!!!
আমাদের ও যে বলতে ইচ্ছে করে,
স্বাধীনভাবে চলতে স্বাদ জাগে, মনের ভিতর।
কি লাভে, কি লোভে, কোন সে স্বার্থান্ধ
ছড়ায় বিবাদ, ছড়ায় ভীতি
কেড়েছে আমার হাজার বছরের সম্প্রীতি
এটাই কি ওদের রীতি-নীতি???
ওরা রক্ত পিপাসু,
ওরা রাত বিরাতে রক্তের হোলি খেলে,
ওদের কাছে ধর্ম মানে ধর্মান্ধতা।
ওরা ধংসের মাঝে কেতন উড়ায়,
ওরা সৃষ্টি গেছে ভুলে।
ওগো আমার বংগজননী,
দুই বাহু বাড়িয়ে তব অপত্য কাছে ডেকে নাও।
হউক যত কুসন্তান তোমার, তারে শিখাও,
যে বহ্নি শিখা দীপ্তিহীন,আঁধার ঘনায়,
তাকে কি তোমার সান্নিধ্যে মানায়???
যে নাড়ি ছিঁড়ে, এই বংগভূমিতে
পড়েছে আমার সদ্যজাত দেহ,
সেই মৃত্তিকা পরে হবে আমার শেষ যাত্রা
হবে আমার শবদাহ।