রাতের আকাশ, কোথাও কোন মেঘ নেই
পূর্ণিমার চাঁদ আর তারকারাজি খেলছে পূর্ণ জৌলুসে
পৌষের শীত আর ঝিরঝির হিমেল হাওয়ায়
কলনিধির মোহিনী জ্যোৎস্না তনু মনে সৃষ্টি করে অন্যরকম দ্যোতনা।
নির্জনা নিশীথিনী স্নিগ্ধতার সম্মোহনী ভেলায় ভাসছে
প্রকৃতি যেন হা করে গিলছে সুধাকরের অমৃত সুধা।
আর প্রবাসী হৃদয়গুলো অজস্র বাতির মিছিলে
রূপালী চাঁদের মনোলোভা শোভা খুঁজতে গিয়ে বেদনার সাগরে হাবুডুব খায়।
বারে বারে তাকায় আকাশ পানে কিন্তু স্বাদ মিটেনা,
অতৃপ্ত মন ডুকরে কেঁদে উঠে,
মনেহয় পূর্ণিমার চাঁদও যেন প্রবাসীদের সাথে ছলনা করে
ধরা দেয়না তার কমনীয় আর মনমোহিনী রূপ নিয়ে।
আবেগ-অনুভূতির ঢেউগুলো মিলিয়ে যায় চোখ ধাঁধানো সোডিয়ামের আলোয়।
ইচ্ছে করে ফিরে যায় সেই গ্রামীন জনপদে
যেখানে গাছ-গাছালির ফাঁক গলে জোৎস্না খেলা করতো বাড়ির উঠোনে
নদীর ছলছল জলে নৃত্য করতো চাঁদের অপরূপ শোভা।
কাকেরা কখনো কখনো ডেকে উঠতো ভোর ভেবে,
সব পঙ্কিলতা যেন ধুয়ে যেত জোৎস্নার আলোতে
সরলতায় ভরে উঠতো মনের গহীন কোণ।
সময়ের স্রোতে আজ সব অতীত
পূর্ণিমা-অমাবস্যা এখন আর অনুভবে আসেনা
বাস্তবতার কঠিন স্রোতে শুধুই সাঁতরে চলি
তবু ইচ্ছে জাগে অতীতের স্মৃতিগুলোয় লেপটে থাকি লতাগুল্মের মতো
আবারও একবার ছুঁয়ে দিই জ্যোৎস্নার অশরীরি সৌন্দর্য।
##