অমানিশার অন্ধকারে ডুবেছিল যবে এই ধরণী
অনৈতিকতার অতল গহবরে মনুষ্যত্বের তরণী,
পরিশুদ্ধতার অভাবে অকার্যকর সমাজের ধমনি
তুমিই দেখালে তখন মুক্তির আলোকময় সরণি।

গোত্রকলহ, লুণ্ঠন, হানাহানি আর অত্যাচার
বাতাসে ভেসে বেড়াতো নির্মমতার সমাচার,
আরব উপদ্বীপ ভরে ছিল মূর্খতা আর কদাচার
তুমিই শিক্ষা দিলে তখন মানবিক সদাচার।

মৃতপ্রায় মরু আরব পেল নব প্রাণ তোমার পরশে
আসমান জমিন গাহিল বন্দনা সেদিন মনের হরষে,
সিক্ত হলো সৃষ্টিজগত তোমার অনুগ্রহের বরষে
দূরীভুত হলো সকল বর্বরতা ত্বরিত তরসে।

রাত্রির রুদ্র কন্ঠ হতে এলো বেরিয়ে দিনের গান
জেগে উঠলো আলোর পাখিরা এলো খুশির বান,
ঘন অশ্রুর কারা তটে উঠলো প্রশান্তির তান
মানবজাতি খুঁজে পেল জীবনের প্রকৃত মান।

নারীকে তুমি দিয়েছ অভুতপূর্ব সম্মানের আসন
চিরবিস্ময় হয়ে থাকবে অনুপম সেই শাসন,
সুনিপুন প্রজ্ঞার অনন্য উদাহরণ তোমার ভাষণ
শ্রেষ্ঠতম রাষ্ট্রনায়ক হয়েও ছিলনা কোন  সিংহাসন।

তোমাকে যারা কষ্ট দেয়, করে যারা অপমান
করবে না ক্ষমা তাদের কভু আল্লাহ মহান,
বেচেঁ আছে নবী প্রেমিক লক্ষ কোটি মুসলমান
ওরে নরাধম নবী বিদ্বেষী হয়ে যা সাবধান।

করে সালাম জীব-জন্তু পশু-পাখি আর তরুলতা
মানব হয়ে কেন তোদের অন্তরে এত বক্রতা,
তিনিই তো বিলিয়েছেন সর্বদা উদার মানবতা
ধ্বংস অনিবার্য যারা করে নবীর সনে শত্রুতা।

মানবতার মুক্তির দিশারী তুমি হে প্রিয় রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইয়ে ওয়াসাল্লাহ)
তোমার নামে মুসলিম হৃদয় থাকে সদা ব্যাকুল,
সৃষ্টিজগতের প্রাণ তুমি, নেই কিছু তোমার সমতুল,
আল্লাহর প্রিয় হাবিব তুমি, তুমিই শরীয়তের মূল ।

রক্তে মোদের নবীপ্রেমের বুদবুদ মুখে ছল্লে আলা
দ্বীপ্ত শপথে এগিয়ে চলি ভেঙ্গে প্রতিবন্ধকতার তালা,
চুরমার করি নবীবিদ্বেষীর দূর্গ হোক যতই সীসা ঢালা
ফিদাকা আবি ওয়া উম্মি ইয়া রাসুলুল্লাহ।
##