সুশোভিত আসমান হবে যেদিন বিদীর্ণ
তারকারাজি ছুটবে সেদিন হয়ে দিকভ্রান্ত
প্রমত্ত সাগরের জলরাশি হবে একাকার
উম্মোচিত হবে কবরের সকল দ্বার।
জানবে তুমি অগ্রে পাঠালে যাহা
আর যাহা কিছু রেখেছ পশ্চাতে।
কে তোমাকে করেছে আজ বিভ্রান্ত?
বিধাতার তরে কেন ধোঁকায় মত্ত!
মানবকে করিলেন সৃষ্টি সুঠাম দেহে
দিয়েছেন আবার সুষম আকৃতি ভরে।
অতুলনীয় গঠন মানব-সন্তানের অবয়ব
যেভাবে চেয়েছেন মহামহিম সেই রব।
প্রবঞ্চনায় মগ্ন হয়ে কর অস্বীকার
শেষ বিচারে হবে হিসেব সবার।
তত্বাবধায়ক রয়েছে সকল মানুষের তরে
যাঁহারা লেখেন মানবকর্ম আমলনামা ভরে
জানেন তাঁহারা সবার কৃতকর্ম বিশ্বচরাচরে।
পূণ্যবানগণ থাকবে অনন্ত সুখের উদ্যানে
আর পাপীরা মর্মন্তুদ লাঞ্চনার জাহান্নামে।
কর্মফলের দণ্ডাদেশে যাবে যারা সেথায়
ভুগতে হবে অনন্তকাল পাবেনা রেহায়।
মহিমান্বিত প্রভু জিজ্ঞাসে বারে বারে
কী জান? প্রতিদান দিবসের ব্যাপারে!
থাকবেনা সেদিন কারো কোন সামর্থ
চলবে শুধু বিধাতার একক কর্তৃত্ব।
##
বি দ্র: পবিত্র কুরআনুল করীমের সূরা ’আল-ইনফিতার’ এর কাব্যানুবাদের প্রচেষ্টা মাত্র। যদি বিজ্ঞজনদের দৃষ্টিতে কোন অসঙ্গতি পরিলক্ষিত হয়, জানালে উপকৃত হবো।