গাঙফড়িং এর এক্কাগাড়ির তলবে
ধিমি আলোর বিছানায় মচ্ছবের আয়োজন।
আমন্ত্রণে বেঘোর ভিড়ের মৌমাছির ঝাঁক
স্যাঁতসেতে ঘামের মধুর ঘ্রাণে
মেদহীন কোমরের ভেজা ঠোঁটের ওম মেখে নেয়।
সজারুর কাঁটা সোহাগী আঁচড় কাটে
পাথরকুচি লবণের হ্রদের পাড়ে
পাড় ভিজে ওঠে খণ্ডে খণ্ডে, চুপ শব্দে,
ইলেকট্রিকের উনুনে তখন ফোড়নের আঁশটে গন্ধ।
মরদ মহুয়ার নেশার হাওয়া শুঁকে
নিব কলমের খাঁজে দম দিয়ে যায়
টেবিল ঘড়ির ছটফটানি,
চামড়ার কাঁপুনিও খাবলে খায় টোল পড়া জলাভূমি
আর্ত লালার খালে ডুব দেয় তৃপ্তি, আরও একবার;
একটানা তপস্যার ধ্যানে
মহাকালের ডাক আসে সমুদ্রমন্থনের,
হুঁশ হারায় বাতিকগ্রস্ত শুচিবাইয়ের শতাব্দী।
লজ্জাবতী গাছের খিন্ন পাতার মতন
বুজে আসে ল্যাপটানো কাজলের চোখ!
ভাঁড়ার ঘরের ক্রিমসন গোলাপি দরজা খুলে
ভোগজলের জোত দেয় বকধার্মিক হিতৈষী,
বাঞ্জারা জমি ভেবে ফসল বুনে যায় উইপোকা।
এরপরও ভোজনাগারের কার্নিশে পালা বদলের অপেক্ষায়
ঠায়ে ঠায়ে দাঁড়িয়ে আরও কয়েকটি রঙিন মাছি!
___________________________
# লেখাটি ওয়েবজিন বাংলা-লাইভ ডটকমে প্রকাশিত