হে চিত্ররূপময়, নও তুমি শুধুই সবুজ করুণ রূপসী বাংলার,
তিমির হননের ধূসর রঙের বেতফল – সজনী-অরির নির্জনতার!
তুমি চুনিলাল, ভূমেন্দ্র তুমি, তুমি হানাদার বুদ্ধের বিমোহ দেবতার।
সময়ের কাছে সাক্ষ্য দিয়াছিলে, তাইতো খুঁজিয়াছিলে পিরামিডে
আঁশটে গন্ধ, ইতিহাস অভিলেখ – চাইয়াছিলে মুচলেখা কবিতায়
কেন বহুল-কথা মঞ্জুরি পায় কালশিটে? বিজ্ঞতাপূর্ণ কেন বিপন্নতায়?
হে নিরবকাশময়, ভালোলাগা-ভালোবাসা কারে কয়? তোমার অনুরাগ
শোভনাতে মিলায়ে, বুক পাতাতে লিখিয়া গেছো এ কেমন আলেপ?
লাবণ্য ক্ষেতে রচিয়াছো জনিতার ফরমান - কথাকলি আর আলাপন-রাগ।
মহা জিজ্ঞাসায় সৃজন করিয়াছো শেষ ক্ষণে, পারো নাই তবু মুক্তির স্বাদে
দেখিতে নিজেরে, কাঁচপোকা হামাগুড়ি দেয় – বিষ্ণুর অচিন্ত্য প্রেমবিন্দে;
অপার মূলদে তবু মানিয়া লইয়াছো শামুখের ঋতি, পরিহাস নতুবা তীব্র হাসি।
কোনোদিন দেখিব না তারে আমি! যেই সব শেয়ালেরা নিংড়ে নিয়েছে তোমার
সাধ, ইচ্ছা-আকাঙ্ক্ষা, অনন্ত জীবনের সকল চাওয়া-পাওয়া, পটভূমি বিসার,
আজ তারাই খুঁজিতেছে – ছেঁড়া ডালপালায়, চৌচির হয়ে যাওয়া ভাঙা যত হাড়!
পৃথিবীর রৌদ্রে ঘুমায়ে পড়িয়াছো তুমি, লৌহ চাকার পথে, শক্ত মাটির বিছানায়!
হে মহা জীবন, হে অঘ্র সাগরের মহাকাল, শাদা পাল উড়ায়ে খুঁজিয়া চলিয়াছি
এখনো তোমারে – চাঁদিনীতে, মহাগোধূলি, হেমন্তের রাতে, হয়তো মরীচিকার পিছে –