নিবিড় এক মেঘবালি আকাশের নিচে – ভাসা নদীতীর;
নিঝুম ঢেউয়ের মাঝে হলদে রঙের জলছবির ছায়ার মতন।
মনেহয় – যেন কোনো সব-হারা চিত্রকারের শেষ ক্যানভাস!
এলোমেলো জলে ভেসে আছে কোনো শাদাটে পানকৌড়ি –
অই পারের ডাকে যাবে বলে;
মাঝি এখনো নৌকা নিয়ে যে মাঝ নদীতে –
কম্পাসের কাটা টেনে আছে – গতি তার কোনদিকে যাবে!
বিকেল জলের গন্ধে ভেজা বাতাসের মুখখানি –
অই পারের মেয়েটির মতো রাঙা।
কাঁপানো হাতে বুরুশের ছোঁয়া বড্ড বেশি রঙ ধরে নেয়!
মাঝি ফিরে এলে অই পারে যাবো;
বাতিঘরের আলো জ্বলে গেলে – তারে যে আর দেখতে পাবো না!