কতদিন অপেক্ষায় ছিলাম…
তোমার শেষ চিঠি পেয়েছি হলুদ পালকের খামে।
তুমি লিখেছো –
আকাশ শালবনের উত্তরী বিজন আঁচলে
পুনর্মিলনের আগমনীর কথা, মিলন উৎসবের কথা;
লিখলে –
বাণরাজাও নাকি বলেছেনঃ আমাকেও আসতে হবে।
জানো…
শুধু এইটুকু পড়েই
আমার মনের সমস্ত নিষ্প্রদীপ দ্বীপ জুড়ে
বাকি শেষটুকু রোদ্দুর এল, জোছনা এল তট ভিজে;
সবুজ আলোর ছিটে পড়ল গাঢ় শূন্যদেহে…
আর মনেহয় তোমার শরীরের সবকটি খঁজর চুম্বন
আর কখনও আমার শুকনো রক্তে দাগ কাটবে না।
তুমি কিন্তু তোমার লাল আশমানি বসতি থেকে
নীল আলোর ভেলায় এসো মিলন উৎসবে;
আমিও ঠিকই পৌঁছে যাব, সেই কবেই
আমি তুলো চন্দনের সিঁড়ি বানিয়ে রেখেছি,
তুলসি পাতাও কথা দিয়েছে
জেগে থাকবে প্রতিটি সিঁড়ির কোনে, চলার পথে।
তোমাকে যে আর কোনদিনই চিঠি লিখতে হবে না
শেষ চিঠিটা আমিও পাঠালাম মলাট কাহিনিতে লিখে;
ভাঙা নৌকার জলে ঠিকানার ডাকঘর
এরপর শুধুই লিখে দেবে লাল নক্ষত্রের চিঠি।