বিকর্ণ তোমাকে খুব মনে পরে জানো,
আজও…
এইতো সেদিন দেখলাম –
পানশালায় পকারের টেবিলের খেলা শেষে
হেরে যাওয়া মেয়েটারে নিয়ে ওঁরা টানাহেঁচড়া করছিলো,
না না…
তুমি যেটা ভাবছ, সেটা নয়,
এখন তো আর বস্ত্রহরণ হয়না, আপেক্ষিক জীবনের সু-কাল এখন!
হলে যে এখন ধর্ষণ হয়, শ্লীলতাহানি হয়!
ওঁদের ভাষায় এটা রগড়ানোর মজা।

তোমার কথা ভীষণ মনে পরে জানো বিকর্ণ।
আমার কুরুখ-খেতের পোড়া মাটিতে একবার এসো –
ধর্মেরও যে জাত হয় তাও শিখে গ্যাছি –
তার নামকরণ করবো ভেবেছি –
আসবে তুমি একবার
সে কালের মতো – এই একদল শকুনের বান্দার মাঝে?
ভেবে দেখো –
এখানে কিন্তু তুমি ওই ‘ধর্মযুদ্ধ’ পাবে না!
এখানে যুদ্ধের নামে ধর্ম হয়, এখানে ধর্মের নামে হৈচৈ হয়!

এখানে দায় বড় দলাদলি! ত্যাগ বড় অর্থ-লোভী!

তুমি হয়তো একটুও বদলাওনি –
যেভাবে তোমাকে পেয়েছিলাম তোমার কর্মের বিশ্বাসের সাথে
অথবা ওই এক বৈশ্য দাশী-পুত্রের মতন অবিচ্ছেদে একইভাবে
শেষবারেও…

আমরাও কিন্তু একটুও বদলাইনি জানো বিকর্ণ!