ক্লাউন তার স্ক্রিপ্টে ছবি আঁকছে মরণখুঁটির –
অমোঘ এর ক্যানভাস!
কিছু সরীসৃপ চেয়ে আছে অপেক্ষায়
ছবি শেষের তারপরে
তারা মিনারের মুকুটে তাপ লাইট জ্বালাবে,
জ্বালাবে ভাস্বর বাল্বের ফিলামেন্ট ষোলো আনার উল্টো পিঠেও;
সব যাত্রাপথ সব দিক মেপে নিয়েছে হাওয়াকলের বাতাস
পোষ্য শিয়ালের আদর খেতে চায় মানুষও!
লৌহ-কাঁচের কোটরে শুয়ে আছে কয়েকটি কঙ্কালের বীজ
গিরিখাতে নিষেধভাঙা ঋতুচক্র!
তিরতির করে কয়েক জোড়া রঙের লাইন নেমে আসে
ক্যানভাসের নীচে, অসুখ-ফ্রেম বাষ্পের মতো উঁকি মারে!
তখন তাবুর প্রাসাদে হাততালির শব্দ আর
গ্লেসিয়ারের না বোঝা নীল বাঁদরের মতো দাঁত খোলা অট্টহাসি…
পাগল দর্শক ভেলকি দ্যাখে –
শুয়ে পড়া মেরুদণ্ডের উপগ্রহের ঘিলু ধরে দাঁড়ানোর!
কুয়াশা-আলো এর অন্ধকারে এবার ফিরে যেতে হবে ক্লাউনকেও…

দু’টি দিনকানা বাদামি মণির মাছি গরম নিঃশ্বাসের গাল টিপে
ক্লাউনের ক্যানভাসের বিছানায় কানামাছি খেলে উড়ে যায়…

=====================================
লেখাটি এ বছর ২০২২ "অভয়া" পত্রিকার শারদীয়া সংখ্যাতে প্রকাশিত
=====================================