যখন আমার মরণদশা ধরল,
তখন আমার আট প্রহর।
টেনে টেনে শ্বাস নিলেম,
মরণ বলেও এমন,
কে জানত তখন।
গুনে গুনে কয়েকটি পাহাড়,
মাঝখানে রম্ভাবতীর সার,
সেই নীলাম্বরী।
বিকেল হল,রাত্রি গেল,
সকলে বলে"কেমন অন্তর।"
তখন আমার আট প্রহর,
শুকনো মেঘে লাগিয়ে দিল,
সোনার পরশ লাগানো নদী।
বলে,"দার্জিলিং খুবই ভালোবাসি।"
সে ভাগ্য আর কোথায়?
ছোটো আমি,বিচিয়ে যাব সস্তা দামে।
পদ্মকেশরী সরল মন,
কষ্ট দেওয়া অমানুষী।
রজনী গর্জে বিপুল বহর,
যখন আমার মরণ দশা,
তখন আমার অষ্ট প্রহর।
শুকনো বর্ষে,মাটি ভেজা গন্ধে,
সেও মিশিয়ে রয়,
মিশিয়ে রয় আমার অন্তরে,
মিশিয়ে রয় আমার প্রাণের গহ্বরে।
সর্বপরি, তার এলো কেশ,
মায়া জড়ানো হাতের রেখা।
অন্তপুরের প্রাণ বনে
এলোকেশে বেনি আঁটা।
চঞ্চলা হাস্যমুখে,
রুক্ষ বিহনে প্রাণ মনে।