বলেছিল লোকে, চলে গেছে সিন্ধু পারে।
মরাল নয়নি দেখেছিলাম তার কাঁখ।
মাদার তলায় সন্ধ্যা বেলায়,
গেঁথেছিলাম গল্পের ঝাঁক।
থাক! সে সাত সিন্ধু পারেতেই থাক।
শুনেছি আমি তার তৃষ্ণার্ত কণ্ঠের ডাক।
সঁপে ছিলাম মধ্যি হিয়া।
সরোদনে স্তবক দিয়া।
নীরস ওষ্ঠে শুনেছিলাম ভাষা।
গ্রামের মেয়ে,
ছিলো না তো সর্বনাশা।
কোমল গালে উঠেছিল ঘামের ঝাঁক।
থাক! সে সাত সিন্ধু পারেতেই থাক।
শুনেছি আমি তার তৃষ্ণার্ত কণ্ঠের ডাক।
শরৎ মেঘের সরু দিগন্ত বেয়ে।
দেখেছিলাম নিথরে, ক্লান্ত সেই মেয়ে।
সরে ছিল মেঘ,
বেতের ঝুড়িতে ভরেছিল শুশুনি শাক।
থাক! সে সাত সিন্ধু পারেতেই থাক।
শুনেছি আমি তার তৃষ্ণার্ত কণ্ঠের ডাক।