রাত্রি, নির্জন;
কালো পিচ রাস্তার উপর,
দানব রূপে একটা একটা বিশাল লরি।
আরও লরি,
বেগবান, আরও বেগবান।
আর উঠতে থাকে কালো ধোঁয়ার,
বিষাক্ত ছাউনি।
আর চিবিয়ে চিবিয়ে খাচ্ছে অক্সিজেনের
একটা একটা ঘর।
ছায়া ক্রমশ কালো থেকে আরও কালো।
চলতে থাকে রাত্রের কার্যকলাপ।
সারা রাত, আরও কয়েকটা রাত,
ঢের ঢের শ্রমিক।
উল্লাসী সব,যোয়ান।
আস্তে আস্তে নিশার শেষ।
আরও কিছু শেষ।
শেষ হয়ে যায় স্বপ্নের সেই সুর, আর,
একখানি ছেঁড়া সকালের উষ্ণ রোদের।
পড়ে থাকে কালো ছায়ায় আমার জোড়হিড়া।
সবুজ পাতার উপরে পড়ে থাকে ক্লান্ত,
শ্রমিকদের কালো ছাপ।
আর ছোট্ট বাচ্চা ঘুঘুর একরাশ ইচ্ছা।
শুধু সবুজের পাতা নয়।
একটা একটা ফিঙের সংসারও।
অক্সিজেন তৈরির কারখানায় কারখানার
আক্রমণ,
শেষ, আর শেষ হয় ডানা ঝাপটানর।
আর, তারা বলতে থাকে;
শুধু বলে না অভিশাপের পর অভিশাপ,
আরও অভিশাপ।
নাশ হোক এই বিশাল পৃথিবীর।
তারপর সৃষ্টি করব আর এক,
সবুজ পৃথিবী।
বইতে থাকবে কোমল, সবুজ হাওয়া।
তখন আমি শ্বাস নেবো।
তখন আমি শ্বাস নেবো প্রাণ ভরে।
নতুন ভুবনের পাতায়।
আমার সবুজ ভুবনে।
আমার সেই জোড়হিড়ায়।