ভেবে ছিলাম একটু সময় দিলে বদলে যাবে;
ফিরে আসবে অন্ধকার পথ থেকে;
পোষামানা পাখির মতো।
তাই দিয়েছিলাম সময়,
কিন্তু আমার ধারণাকে ভুল প্রমাণ করে
আরো দ্রুত বেগে ছুটে চললে কৃষ্ণগহ্বরের দিকে-
অজানা গন্তব্যে, সবকিছু শূণ্য করে।
ভেবেছিলাম একটু ভালোবাসলে
ভালোবাসা কাকে বলে বুঝতে শিখবে,
আগলে রাখতে শিখবে মুরগির মতো করে-
সদ্য ফোটা বাচ্চাকে যেভাবে আগলে রাখে পাখার ভেতর।
কোন একজনকে ভালোবাসবে মন উজার করে।
তাই ভালোবেসেছিলাম-
কিন্তু অমার ধারণাকে ভুল প্রমাণ করে
ভালোবাসা ভালোবাসা খেলা খেলে চলেছ নিজেকে চতুর মনে করে।
ভেবেছিলাম কষ্ট মেশানো চোখের জল দেখে
অনুভব করতে শিখবে কিভাবে যত্ন করে কষ্টকে লালন করতে হয়।
কষ্টের ভেতর দিয়েও সুখ অনুভব করা যায়।
তাই উজার করে দিয়েছিলাম বহুদিনের লালান করা
নোনাজলের উত্তাল সম্রদ্রকে।
পারোনি সমুদ্রের গভীরতা অনুভব করতে।
হয়তো সবই অনুভব করবে কোন এক দিন
কেউ সে দিন ফিরে তাকাবে না,
জোনাকিরা হারিয়ে ফেলবে তার ক্ষুদ্র আলোর কণা
সমুদ্র হারাব তার জল, মেঘেরা আর বৃষ্টি হয়ে নামাবেনা ঢল,
সূর্যরা রাতের আকাশের তারার মতো
মিটিমিটি করে জ্বলবে সেদিন!
মহাকাল মুখ লুকায়ে হাসবে;
সময় চাইবে সবার কাছে, মুখ ফিরিয়ে নিবে সবাই,
বলবে সময় কোথায়? তখন নোনা জলের ঝর্ণা ধারা
ছুটবে যমুনার মতো মহাসমুদ্রের পাণে।
তখন বুঝবে ভালোবাসার কি মানে।
তখন বুঝবে ভালোবাসার কি মানে।