একটি সুপ্রাচীন গাছ
ছোপ ছোপ দাগ
সময়ের ছাপ।
কান্ডভারে আনত, যৌবন
ডুবে গিয়েছে কোথা
ভাঁজে ভাজে শেকড় অসীম তৃষ্ণা
আঁকড়ে আছে মাটির সাথে
প্রাচীন প্রেমিকা ।

একটি ঘন পাহাড়
স্তুপ স্তুপ সুবিন্যস্ত
কিঞ্চিত বাঁকা ঠোঁটে
লাজভাঙা দেহ মেলে ধরা
একফালি তুষার।
সামনে লোভের
পসরা মেলে ধরা পারাবার
ডাক দেয় প্রলোভনের ; দুর্নিবার
উষ্ণতা ছড়ানো বাতাস উড়ে উড়ে
তবু কাঁপন ধরে না তার।
ফুঁসে উঠে জোয়ার, তবু
দৃষ্টি ফেরে না তার
উপকূল জুড়ে বাতাস-পাখির যুগপৎ
হাহাকার।

শত প্রলোভন শেষে তবু
যুগ যুগ ধরে নিশ্চল মাটির উপর
প্রাচীন প্রেমিকার বুকে মধু
খোঁজে অবনীধর ।


একটি যুবক
অবিন্যস্ত চুল উড়ে, এতটুকুই তার
স্বাধীনতা আছে
স্থির দাড়িয়ে
কেন্দ্রখানে
সুগোল বৃত্তমাঝে
সীমান্তজুড়ে ফুঁটেছে
হাজারো গন্ধম ।
তবু নিশ্চল সে আদিবিন্দুতে
একখানা শেকল তারে মমতার
সাথে টানে
যুবকের কোথাও যাওয়ার নেই।

ঝাপসা চোথে কেবল মাটি খুড়ে
খোঁজে নিজের কবর
যার জন্য কত সংগ্রাম,শত বিনিদ্র প্রহর
একেই নাকি বলে জীবন !
যুবক যেনে গেছে কে তার সত্য প্রেমিকা
মাটি খুড়ে খুড়ে সে অনন্তর
খোঁজে প্রেমিকার বুকে চুড়ান্ত মধুর নহর।