চলতে ফিরতে প্রতিনিয়তই বিভ্রান্ত হয়ে উঠি
আমি কি প্রকৃতই মানুষ আছি, না ছিলাম
নাকি রুপান্তরিত হয়ে গেছি ভিন্ন কোন প্রাণীতে,
কিংবা নিশ্চুপ কোন গাছে,
অথবা শীর্ণ কোন নদীতে ।
আমি ক্লান্ত,অবসাদের ঘোরলাগা চোখে দেখি
মানুষ কত বহুরুপী ।
আমার ভারী সন্দেহ জাগে,আমি আসলে কি।
আমার বিদীর্ণ বুকে শীর্ণ তারারা জ্বলে নিভে
আলো-আঁধারির জগতে আমি আহত
নক্ষত্রের কাতরতায় জমিনজুড়ে বিষমকোণে মিশে যাই।
ছায়াপথ জুড়ে ছড়ানো কলংক
কে দিয়েছে, কে দিয়েছে
বৃদ্ধ গাছের শাখে শাখে কাব্য
কে লিখেছে, কে লিখেছে
মধ্যরাতের নির্জীব ঘুম ফালাফালা করে
কে চিড়েছে, কে চিড়েছে ।
স্বপ্ন, না বাস্তবতা ?
ঘোরে কাটে দিন
ক্রমশই বিস্মৃত কল্পনা - লৌকিকতা ।
চারদিকে ফেঁপে উঠা জলোচ্ছাস ছাপিয়ে
ধীরে ধীরে ডানা মেলে
মানুষ-অমানুষ পার্থক্যের উপরে
রুপান্তর চলে
মহাবিশ্বের অবিচ্ছেদ্য এক কণাতে
অস্তিত্বহীন, আবার ঘনিষ্ঠ অস্তিত্বে ।