সমগ্র বিশ্বের বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন মানুষের প্রতি উৎসর্গীকৃত যৌথকাব্যগ্রন্থ “সহমর্মিতার সংবেদন” ভুমিষ্ঠ হয়ে বিলিয়ে চলেছে সুমিষ্ট ফল। আন্তর্জাতিক এ নিবেদনের প্রতি মানবিক ভুবনের সংবেদনশীলতা অভিভূত করেছে আমায়। আমার দৃঢ় বিশ্বাস স্বর্ণোজ্জ্বল এ উৎসর্গ যুগে যুগে প্রতিবন্ধী বা ভিন্নতার মহিমান্বিত প্রতিনিধি মহলকে রাখবে মর্যাদা, সম্মান ও সচেতনতার সুরক্ষিত স্থানে।

প্রস্তাবনা (২০১৯) এবং প্রকাশনা (২০২৩) সালের পর থেকে ধারাবাহিক অগ্রগতির মাধ্যমে আজ আমরা দাঁড়িয়েছি ২০২৪ সালের শেষ মাসে। বিগত সময়ের আলোচনাগুলো যারা পড়েছেন তাঁরা জানেন মহৎ এ উৎসর্গ কাজে চারটি ধাপ রয়েছে। যারা এ সংবাদটি আজকে প্রথম পেয়েছেন তাঁদের সুবিধার্থে প্রতিটি ধাপের সংক্ষিপ্ত বর্ণনা আবারও দিচ্ছি।

ধাপ ১. কাব্যগ্রন্থটির মূল ভার্সন আন্তর্জাতিক মাতৃভাষার মর্যাদায় ভূষিত বাংলা ভাষায় প্রকাশ করা
এ আসরের মোট ৮৪ জন কবির স্বরচিত কবিতা নিয়ে অন্বয় প্রকাশের মাধ্যমে বইটি প্রথম প্রকাশিত হয় ২০২৩ সালে, অমর একুশে বইমেলায়।  

ধাপ ২. উৎসর্গ সংবাদটি বিশ্বের বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে পৌঁছে দেয়া এবং স্বীকৃতি অর্জন করা
সবচেয়ে দীর্ঘ এ ধাপের আশানুরূপ ও সন্তোষজনক অগ্রগতি হয়েছে এবং বাকি দেশগুলোর অভিমুখে যোগাযোগ চলমান রয়েছে। সময়ে সময়ে উল্লেখযোগ্য তথ্য ও সংশ্লিষ্ট উপাদানগুলোর আপডেট নিয়ে ফিরব। আজকে তেমনি একটি বিশুদ্ধ ও উন্মুক্ত অনুপ্রেরণার দৃষ্টান্ত শেয়ার করবো। সেটি হচ্ছে অস্ট্রেলিয়ার সম্মানিত প্রাইম মিনিস্টার অ্যান্থনি আলবানিজ (Anthony Albanese) এ উৎসর্গের প্রতি দ্রুত সাড়া দিয়ে যেভাবে সম্মান প্রদর্শন ও স্বীকৃতি প্রদান করেছেন তাতে বিমোহিত আমি! এছাড়াও দেশটির সম্মানিত ফেডারেল মিনিস্টার ডা. মাইকেল ফ্রিল্যান্ডার (Dr Michael Freelander) বইটির মূল ভার্সন হাতে নিয়ে ফটোগ্রাফ দিয়েছেন। উনি বইটির ইংরেজি অনুবাদের কপি পেতে বিশেষ গুরুত্ব ও আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।

ধাপ ৩. বইটির ইংরেজি অনুবাদ প্রকাশ করা
“সহমর্মিতার সংবেদন” এর ইংরেজি ভার্সন সংগ্রহে সর্বস্তরের মানুষের বিপুল আগ্রহ আমাকে ঊৎসাহিত করেছে অশেষ মাত্রায়! তাই অনুবাদের কাজটি শুরু হতে যাচ্ছে শীঘ্রই। মূল ভার্সন প্রকাশের মতোই, অনুবাদক এবং অনুবাদের সাথে জড়িত শতভাগ খরচ আমি ব্যক্তিগতভাবে বহন করবো।  এ উৎসর্গের মূল উদ্দেশ্যকে অন্তরে ধারণ করে, কাজটি করতে সক্ষম এবং আগ্রহী একজন বিশেষ অনুবাদক চাই। আপনাদের পরিচিত কেউ থাকলে নিচের কমেন্ট বক্সে আমাকে জানানোর অনুরোধ রইল। তাছাড়া পত্রিকা বা সামাজিক মাধ্যমেও খোঁজ করা যেতে পারে। অনুবাদক নিযুক্ত করার পরে আমার স্বাক্ষরসহ অনুবাদের অনুমতি পত্র, বাংলা ভার্সনের কপি এবং আনুষঙ্গিক ফাইলগুলো তাঁর কাছে পাঠানো হবে। অনুবাদ-কাজটি চলবে ধীর গতিতে এবং সাবধানতার সাথে। অনূদিত পাণ্ডুলিপি প্রকাশকের কাছে পাঠানোর আগে কবিরা নিজ নিজ কবিতার অনুবাদ হাতে পাবেন এবং মতামত প্রকাশের সুযোগ পাবেন। গঠনমূলক যেকোনো পরিবর্তন গ্রহণযোগ্য হবে তবে তা হতে হবে পাণ্ডুলিপি প্রকাশকের পোর্টালে পৌঁছানোর পূর্বে। প্রতিটি পদক্ষেপের সময়সীমা যথাসময়ে জানিয়ে দেওয়া হবে।

বিশ্বের বিভিন্ন দেশ এবং অঞ্চলে সহজপ্রাপ্তি ও অবাধ বিস্তারের জন্য ইংরেজি ভার্সনটি অনলাইন প্রকাশকের মাধ্যমে প্রকাশ করা হবে। উল্লেখ্য যে বইটি বইমেলা ২০২৫ এর আগে প্রকাশিত হবে না বলে বইমেলাতে পাওয়া যাবে না।

ধাপ ৪. উৎসর্গগ্রন্থটি ইংরেজি ভাষা থেকে বিশ্বের যেকোনো ভাষায় অনুবাদের অনুমতি প্রকাশ
ইংরেজি ভার্সনটি সফলভাবে প্রকাশের পরে, ইংরেজি থেকে অন্য যেকোনো ভাষায় অনুবাদের অনুমতি লিখিতভাবে প্রকাশ করা হবে।


বিশ্বময় বিশিষ্ঠ মানুষগণের উদ্দেশ্যে স্বরচিত কবিতা দিয়ে অংশগ্রহণকারী সকল কবি, সম্পাদক ও সংশ্লিষ্ট সকলের সমবেদনা সহানুভূতি ও মানবিক সৃজন “সহমর্মিতার সংবেদন” নাড়া দিয়েছে বিশ্বহৃদয়কে! সবাইকে জানাচ্ছি আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।

বিরল এ সমর্পণের জন্ম, বেড়ে উঠা এবং বিশ্ব ভ্রমণের উৎস হচ্ছে বাংলা-কবিতা ডটকম। ভাঙ্গা গড়ার ভুবনে এমন একটি ওয়েবসাইট যিনি গড়েছেন এবং রেখেছেন সফল ও বর্ধণশীল, তিনি আমাদের সকলের প্রিয় প্রধান এডমিন ও কবি পল্লব আশফাক। পোর্টালটি ব্যবহারের অনুমতিসহ সার্বিক সহযোগিতার জন্য তাঁকে জানাই অশেষ কৃতজ্ঞতা ও আন্তরিক ধন্যবাদ।

*** আমাদের প্রাণের আলোয় উজ্জ্বল উৎসর্গ “সহমর্মিতার সংবেদন” সম্পর্কে পূর্ণতথ্য জানতে আগ্রহী হলে আলোচনার পাতায় আমার বিগত সময়ের ধারাবাহিক পোস্টগুলো দেখতে পারেন।

নিচের ফটোতে অস্ট্রেলিয়ার সম্মানিত ফেডারেল মিনিস্টার ডা. মাইকেল ফ্রিল্যান্ডার (Dr Michael Freelander)।