কথা ছিলো বিশ্বময় বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন মানুষের মর্যাদার প্রতীক নিয়ে উৎসর্গমূলক কাব্যগ্রন্থ “সহমর্মিতার সংবেদন” উড়বে আকাশে বাতাসে,ঘুরবে স্বদেশ ও ভিনদেশে। ব্যতিক্রমী এ আয়োজনের সাথে কোনো বিজ্ঞাপন ব্যক্তিস্বার্থ বা অনধিকার হস্তান্তর… গহণযোগ্য নয়। একথা আমি শুরুতেই সংশ্লিষ্ট সকলকে জানিয়ে দিয়েছিলাম। এও জানিয়ে দিয়েছিলাম যারা বিক্রি করার উদ্দেশ্যে বই নেবেন তারা বাংলাদেশী হলে বিক্রয়মূল্য আমার প্রতিবন্ধী নমিনেটেড একাউন্টে জমা দেবেন আর বিদেশী হলে সংশ্লিষ্ট দেশের প্রতিনিধির একাউন্টে জমা দেবেন। অত্যন্ত দুঃখের সাথে জানাতে হচ্ছে যে কিছু কিছু মানুষ সহযোগিতার নামে সরবে বই সংগ্রহ করার পরে নীরব হয়ে গেছে। আপডেট জানার জন্য বারবার নক করেও সাড়া পাওয়া যাচ্ছে না। ভেবেছিলাম বইটি বিনামূল্যে ছাড়লে, যেখানে সেখানে ফেলে রাখবে যা এ উৎসর্গের প্রতি অবজ্ঞার কারণ হতে পারে। কিন্তু এখন দেখছি টাকা যেখানে ঝামেলাও সেখানে। তাই আজ অবধি দেশ বা প্রবাস, যে যেখান থেকে যার কাছে বই বিক্রি করেছেন তাঁকে বইয়ের পূর্ণমূল্য রিফান্ড/ফেরৎ দেবার সবিনয় নির্দেশ দিচ্ছি। আর অবিক্রীত বইগুলো প্যাক করে আমাকে জানিয়ে দিন যাতে সেগুলো সংগ্রহ করার ব্যবস্থা করতে পারি। এ নির্দেশ বাংলা-কবিতা ডট কম এর সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের জন্যও একইভাবে কার্যকর থাকছে। আমার কাছ থেকে যারা বই ক্রয় করেছেন তাঁদের সবাইকে বইয়ের মূল্য ফেরৎ দেয়ার ব্যবস্থা আমি ইতোমধ্যে করেছি। আমার স্টকে থাকা বইগুলোও এখন থেকে বিনামূল্যে বিতরণ করা হবে বিশেষ করে যে সকল পরিবারে প্রতিবন্ধী সদস্য আছেন তাঁদের মাঝে। এছাড়াও বিনামূল্যে বই সংগ্রহে আগ্রহী গ্রাহকগণ বই পাবেন তবে একটি শর্তে। শর্তটি হচ্ছে বইটি পড়ার পরে অন্য একজন আগ্রহী পাঠকের কাছে হস্তান্তর করবেন তাঁর নাম ঠিকানা ও ফোন নাম্বার রাখার পরে। এতে বইটির বিস্তার মুক্তভাবে হবে বলে আমার বিশ্বাস। আমার এ সিদ্ধান্তের উপর আপনাদের মতামত প্রকাশ করুন মুক্ত মনে।
“সহমর্মিতার সংবেদন” এর সাথে কপিরাইট ভঙ্গ করার একটি ঘটনাও প্রমাণিত হয়েছে। প্রশ্ন করে প্রাথমিকভাবে যে উত্তর পেয়েছি তা গ্রহণযোগ্য নয়। তাই উপযুক্ত জবাবের অপেক্ষায় আছি।
আপনাদের কোমল হৃদয়ের মানবিক সৃজন ও ফলন থাকুক সমাদরে যুগ থেকে যুগান্তরে। এ উৎসর্গের বহমান গৌরব রক্ষায় আমি জাগ্রত আছি অহর্নিশ। সকলের প্রতি শুভেচ্ছা রেখে আজ এখানেই শেষ করছি।