সাগরের চেয়েও গভীর আকাশের চেয়েও বিশাল এক গর্ব ভাগাভাগি করবো বলে উপস্থিত হলাম আপনাদের দৃষ্টির আঙিনায়। আমার প্রস্তাবে সাড়া দিয়ে যে উৎসর্গকে বাস্তবায়িত করার জন্যে সহানুভূতি ও মানবিক ভাবনা নিয়ে বাংলা-কবিতা ডট কম প্লাটফর্মে মিছিল করেছিলেন তা আজ এগিয়ে চলেছে আলোর গতিতে। আপনারা জেনে আনন্দিত হবেন যে, আমাদের প্রাণের উৎসর্গ “সহমর্মিতার সংবেদন” রঙিন হয়েছে শহীদ ভাইদের রক্ত থেকে রং নিয়ে! বাংলা বর্ণমালার সাথে গাঁথা আছে ভাষা শহীদদের রক্তমালা আর বিরল ত্যাগের অমর ইতিহাস। ইংরেজি একটি আন্তর্জাতিক ভাষা আর বাংলা একটি আন্তর্জাতিক মর্যাদা! সংশ্লিষ্ট মহলের মতে, এমন বিশেষ মর্যাদায় ভূষিত বাংলা ভাষায় প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থটির সরাসরি ইংরেজি অনুবাদ প্রকাশ না করে বইটির উপর একটি ইংরেজি প্রতিবেদন বিশ্বের প্রতিটি দেশের সরকারের কাছে পৌঁছে দেয়াসহ তাঁদের জাতীয় টেলিভিশন বা পত্রিকায় সংবাদটি প্রকাশ করার অনুমতি দেয়া হোক। তারপর নিজ নিজ মাতৃভাষায় বইটির অনুবাদ পেতে আগ্রহী দেশগুলোর তালিকা সংগ্রহ করে সর্বসম্মতিক্রমে অনুবাদের কাজ পরবর্তীতে করা হোক। এতে উৎসর্গটি বিশ্বজুড়ে সমমানের স্বীকৃতি পাবে বলে পরামর্শ এসেছে। প্রাপ্ত মন্তব্য ও উপদেশগুলো আমার কাছেও গ্রহণযোগ্যতা অর্জন করেছে। আমিও মনে করি সর্বজাতির হাতে হাতে বইটি তুলে দেয়ার আগে উৎসর্গটি তাঁদের অন্তরে অন্তরে গেঁথে দেয়ার প্রভাবটি বিস্তৃত হবে বর্ধিত মাত্রায়। প্রতিবেদনটি ইতোমধ্যে প্রস্তুত হয়ে গেছে যা পরের পোস্টে আপনারা পেয়ে যাবেন এবং মতামত প্রকাশ করতে পারবেন। যে দেশে বসে এ মহিমার বীজ বুনেছিলাম সে দেশ মানে অস্ট্রেলিয়া সরকারের দুয়ারে এ উৎসর্গ পৌঁছে গেছে। বহুজাতিক এ দেশটি থেকে প্রতিনিধিদের মাধ্যমে তাঁদের নিজস্ব দেশে প্রতিবেদনটি পাঠানোর কাজও চলছে। বাংলাদেশ ও ভারত সরকার সম্মানসহ এটি পেয়ে যাবেন শীঘ্রই। ভারত সরকারের কাছে প্রতিবেদনটি পাঠানোর উপায় বা মাধ্যম সম্পর্কে ভারত কবিদের সহযোগিতা কামনা করছি। এ ছাড়াও বিশ্বের কয়েকটি দেশ ভ্রমণ করার পরিকল্পনা আমার আছে তখন উৎসর্গটি সাথে নিয়ে যাবো।
মানবতায় মোড়া অনন্যতায় গড়া এ উৎসর্গমূলক বইটি কিছু প্রতিকূল পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়েছিলো। সেগুলোসহ কাব্যগ্রন্থটি প্রকাশ ও অন্যান্য ক্ষেত্রে আমার ব্যক্তিগত অর্থায়নের পরিমাণ, বইটির চলাচল ও স্থানান্তর, ক্রয় ও বিক্রয় এবং বর্তমান অবস্থান সংক্রান্ত সকল তথ্য নিয়ে একটি আপডেট পোস্ট করবো যথাসময়ে।
যার নিজ হাতে গড়া সফল ও জনপ্রিয় একটি ওয়েবসাইটের মাধ্যমে আমার দীর্ঘদিনের লালিত ইচ্ছা বা প্রতিজ্ঞাটি পূর্ণতা পেয়েছে সে জনহিতকর, উদার ও শ্রদ্ধাভাজন ব্যক্তি প্রধান এডমিন পল্লব আশফাককে জানাই প্রাণঢালা কৃতজ্ঞতা ও শুভেচ্ছা। এ উৎসর্গে অংশগ্রহণকারী সকল কবি, লেখক, পাঠক, উপদেষ্টা এবং প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত সবাইকে জানাই আন্তরিক ধন্যবাদ ও শুভকামনা।