কত কবির কত কবিতা জাতীয় চেতনায় রূপ নিয়েছে। এ গৌরবময় সৃষ্টির সচেতন রূপরেখা মানুষের জীবনে অভাবনীয় ভূমিকা রাখে। কিন্তু কবিদের সঠিক মূল্যায়ন কম ক্ষেত্রেই দেখা যায়। বিশ্বের বিভিন্ন দেশ বিনোদনে বিশেষ করে চলচ্চিত্র তৈরী করতে যে পরিমান অর্থ ব্যয় করে তার অতি ক্ষুদ্র একটি অংশও যদি কবিদের সৃষ্টিকর্মে ব্যয় করতো তাহলে তারা উৎসাহিত হয়ে উন্নত থেকে উন্নত মানের কবিতা উপহার দিতে পারতো। বাংলা কবিতার এ আসরে কোন একটি আলোচনায় একজন কবি লিখেছিলেন মাত্র 'বিশ হাজার টাকা' জোগাড় করতে পারেননি বলে তার লেখা কবিতার একটি বই প্রকাশের ইচ্ছাটা পূরণ হয়নি। এমন অর্থবহ কর্ম বৃথা যেতে দেই কেন? টেলিভিশনে আজকাল সামাজিক অবক্ষয় নিয়ে বিভিন্ন টক শো হচ্ছে। এক একটি টক শো প্রচার করতে কর্তৃপক্ষকে বড় অংকের বাজেট ব্যয় করতে হয়। যদিও নির্দিষ্ট চ্যানেলের বাণিজ্যিক ব্যাপার এখানে জড়িত, এ ব্যয়টা দেশের কাজে কতটা ভূমিকা রাখে? কবি হৃদয়ের সত্য এবং অনুভূতির খণ্ডচিত্র একটি কবিতার কয়েকটি লাইন বদলে দিতে পারে পাষাণ হৃদয়, পৌঁছে যেতে পারে দেশ থেকে দেশান্তরে। অসাধারণ কবিতা লেখেন এবং অসাধারণ মেধার অধিকারী হয়েও অনেকেই সুযোগের অভাবে বেকার থেকে মেধার অপচয় করছেন। কবিতা লেখতে যারা একবার শুরু করেছেন তারা লেখতেই চান, এটা জীবিকার পেশা না হলেও তাদের মনের পেশা। “কবিতা ও কবি” শিরোনামে লেখা কবিতায় এ সম্মানজনক সৃজনশীল কর্মে অর্থায়নের জন্য সরকারের প্রতি ডা. প্রদীপ কুমার রায়ের আহ্বান! আন্তরিক অভিনন্দন জানাই প্রিয় কবিকে। বেসরকারী পর্যায়েও অর্থায়ন করা সম্ভব বলে আমি মনে করি।
সকল কবিকে বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা জানিয়ে আজ এখানেই!