মনে পড়ে শেষের কবিতার অন্তিম চরণটি
বিংশ শতাব্দীর দোরগোড়ায়
তোমাকে নিয়ে লেখা,
আজও তা অসম্পূর্ণ
ক্রন্দন মুখর সুমিষ্ট শব্দ তার
তার যেন নাহি শেষ
যেন গল্পকথন।
বলতে চেয়েও যেন বলতে পারে না।
শেষ হতে চাইলেও যেন শেষ হতে পারে না।
তোমার হাতের স্পর্শ আজ সে এড়িয়ে যায়
নেই তার সীমাহীন শেষ
করেছে তোমারে উপেক্ষা
নতুনের প্রশ্নচিহ্ন দিয়ে
তোমাকে করবে অতীত।
পরিব্রাজকের মত কেবলই তুমি ঘুরতে থাকবে
বিসর্গ, কমা, প্রশ্নচিহ্ন তে।
তোমার ছাপ আর চাইছেনা সে
কোন্ অবদান সে আর বুঝছেনা।
আকাশ আজ নতুনের অপেক্ষায় উদীয়মান।
কিন্তু তুমি ওকে উপেক্ষা করছ।
দুদণ্ড স্থির হয়ে ওকে
শেষ বিদায়টুকু দেওনি।
শুধু কথার রাশিমালা গেয়েই চলেছ।
কিসের এত বোঝাপড়া?
কেন এত উপেক্ষা?
তুমি আজ পূর্ণতা পেয়েছ ওর হাত ধরে।
শেষ বিন্দু দিয়ে তোমাকে ও ধরেছিল।
কিন্তু তুমি আজ ওর ছাপটুকু সহ্য করতে পারলেনা।
জানি আজ তুমি নতুনের প্রতীক্ষায়
বিছিয়ে দিয়েছ শব্দের সপ্তরেনু
সে না দেখা দাড়িহীন চরনে।