সপ্তসুরে সপ্তঋষি আজ হৈল একত্রিত
আকাশ পাতাল গগন পবন যেন ভাঙিয়া পড়িল।
মহাসমারোহে সমুদ্রমন্থন দর্শন করিল
সাগর বক্ষ উত্থিত করিয়া উঠিয়া আসিল অমৃত।
বিষ্ণু সর্প নাগরাজ তাহার মুনিতে করিল ধারণ
অমর লোকে ধারণ করিল তাঁর দশাবতার।
নাগমুনি বাহিয়া পড়িল অমৃত ত্রিলোকে
দেব দেবী বৃক্ষ প্রাণী সবাই পাইল একে একে।
সবার শেষে এল রাহু কেতু অমৃত লোভে
তার নির্যাস খেয়ে হবে অমর,
      আধিপত্য মাতাবে স্বর্গলোকে।
দেব সেজে অসুরাপতি পেল দুফোঁটা অমৃত।
তা পেয়ে মাতিল নৃত্যতান্ড, জমলোকও যেন কাপিল
লাগিয়াছে যুদ্ধ বিষ্ণুলোকে দেখিল তিনলোক।
পর পর সব দেব পরাস্ত হইয়া হুইল বিষ্ণুর স্মরনাপন্ন।
বিষ্ণু ত্যাজে অগ্নিগর্ভ শিব তাণ্ডব করিল
তিনি তাহার সুদর্শনে তাহাদের মস্তক ছিন্ন করিল।
ছিন্ন মস্তক অমৃত পানে হইল অমর
তাহার ফোঁটা ফোঁটা রক্ত ভুলোকে পড়িয়া-
উঠিল বিষবৃক্ষের উদয়।
দুটি মস্তক মর্ত্যলোকে ঘুরিয়া করিল ভাগ্য বিড়ম্বনা।
কার কপালে কবে বসাবে শনিদেবের হানা।