দেখেছ ওই পল্লিতে! সখের গলিতে দাঁড়িয়ে থাকা যে ভ্রমরেরা
কাহার পানে তাকিয়ে রয়েছে তবে পরাগের নয়,
ছেড়া টাকার আধঘন্টায়
টাকাটা বেশ মন্দ নয়! কেউ বা দেয় ভারী আবার কেউ গচিয়ে যায়।
কাহারো বা দিনে, কাহারো বা দিনরাত।
যত্রতত্র পড়ে থাকে ভাবমূর্তি গুলো।
কেউ বুঝেনা ওদের কষ্ট।
দৈহিক সুখে অনেকে হয়তো টাকার কদর্য ভূলে গেছে।
নিষ্পাপ চোখ দুটির কদর যৌবনের দাস হয়ে গেছে।
কাহারো বা অলি ঝরে পড়েছে। না দেয় সুখ, না আছে দ্যুতি।
ছিঃ ছিঃ ছিঃ ওরা কী আদো নিষ্পাপ ? কেন নয় ?
ওরা তো কূলের দড়ি তো টপকায় নি।
না করেছে গোপনে অভিসার।
তাহাদের রূপের জলসা তাহাদের মরীচিকা,
দৈহিক সুখ তো বেজায় খটকা।
আর রয়ে থাকা সেই কুমারীগুলি, এরা তো সবুজের কলি
তাদের কুমারীত্ব গলির মৃদু আলোয় মিটমিট করে কাদঁছে।
পল্লির কোলে আছড়ে পড়া - এদের কী এটাই কঠিন বাস্তব?
জঞ্জালের হারামে টাকার সুখ
দৈহিক নির্যাসকে আদৌ ঢেকে দিতে পাড়বে ?
ফুলের পরাগও তো একদিন লোপ পায়
গলির সেই কানে কানে এদের ক্রন্দনও লোপ পাবে।
সেটা তো ঠিক!
তবে কে আসবে পড়ে নষ্ট পাল্লার দড়িতে যৌবন ঝুলাতে।
স্রোতের বন্যায় উড়বে তাদের যৌবনও ঝলসে যাবে।
তখন ওদের হায়, কে শুনবে আর্তনাদ,
যাদের দাপটে গলির নীরবতা হত না মূর্ছিত।