শ্রাবণ বিদায়ে আমি, ঊষারে ব্যথিত হৃদয়ী
অহরহ চঞ্চল বিদায় পলাশী, অন্তর দূরহী
তাহার করুন ছোঁয়া হৃদয় বালা, ভরা বাদলে
ডাকে ডাকে আয় আয়, ভুবন মোহরে।
শ্রাবণ বিনা নিশি মূর্ছিত গুঞ্জে
তাহার আঁধার পানে লুণ্ঠিত কুঞ্জে
নিশি নিশি যাবে অমর চাঁদ বাকে
ধরার অতলে ভরে
আ,,,,, আ,,,,,আ
অতলে,,,,,,,,,,।
কাহার বীণাপানে অশ্রু ঝরাল
সময়ের স্রোতে হেরে বছর হারাল
কে আবার আসবে পর বেলায়
ছুটি ছুটি ফাঁকে
আ,,,,,,,আ,,,,,, আ
ফাঁকে,,,,,,,,,,,।
শ্রাবণ কাদায়ে মরুত উড়ায়ে কাহারে কর্ণপাত
অচিন পাখী সুর গেয়ে যায় তাহারে পঙ্খদান
সে ছিল বদ্ধ শালিক, তাহার কে দীন মালিক,
মালিক আমার ভিজেছে কূলে
পুষ্করিনী তটে
দেদার দেদার দেদার উড়ে মল্লিকা পুলকে।
তাহার ধারা বইবে কারা কাহার মুখ ভাড়
সে আসিবে ছটঋতু পার হয়ে আবার।
শরৎপল্লি গাইছে বয়ে, ফুলকাকলি
শ্রাবণের পশ্চাতে নিঝর বাহে, বইছে জোরে
পুষ্পবনে শিমুল ধরিছে, গগন পল্লবী
দিকে দিকে কমল ফুটেছে, সমূল পূরবী।।
( গীতি কবিতা )