ঐ যে রয়েছে মোদের বিদ্যালয়
ফুলের পাতাবাহারে ঘেরা
এক যে এক রকমারি ফুলের বাহার
সারি সারি খেলা।
রজনীগন্ধা-দোপাটি-কৃষ্ণচূড়া নতুন গন্ধের সুবাসে
ভোরবেলা বিদ্যালয়ের আঙ্গনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকে
একের পর এক নতুন বহর
যেন ফুলের মালা
ছোট্ট শিশুরা কুড়োয় ফুল
নতুন সুতোয় গাঁথা।
সবার শেষে আছে কোনায়
এক বৃদ্ধ শিমুল গাছ।
সমস্ত ধাপ পেরিয়ে সে এখন
নিঃসঙ্গ সহায়ের ভাব।
উচ্চতা তার অতি বৃহৎ
নির্জীব তার শাখাপ্রশাখা
তবু তার ডালের ভারে
দেয় অনুজদের ছায়া।
দেখেছে সে প্রবীণ নবীন
কত যুগের সময় মেপে
এখন যেন ফুলহারা জড়তাময়
চালনাহীন বৃদ্ধ থুরথুরে হয়ে গেছে।
ছিল সে নব যৌবনা
যখন বিদ্যালয় গড়ার প্রস্তুতি
ছিল সে তখন একা
ছিল বিদ্যালয়ের একমাএ ভেলকি।
দেখেছিল সে একাসমীপে
বিদ্যালয়ের উঠা পড়ার সাথী।
এখন যেন নতুনের আবছায়া এসে পড়েছে
সময়ের সাথে সে হয়েছে ক্রন্দনমুখী
তার ফুল ছিল অতিশয় সুগন্ধি
ভ্রমরেরা করত খেলা
দুপুরবেলায় তীব্র রোদে
সে দিত ছাউনির পালা।
ছিল তার বিশাল ডালা
দিত ছাত্রদের একমাএ আশ্রয়স্থল
তার তলায় ফুল কুড়িয়ে কত না করত খেলা
ছিল নতুন রঙে উৎসব।
এখন সে দিতে পারেনা
আগের মত ফুলের ছাউনি
দেয়না সমীপে আশ্রয়
এখন নব সখারা জায়গা করে নিয়েছে
সে হয়ে গিয়েছে নিরাশ্রয়।
সে ভুগছে এখন জড়তায়
নীরবতা তার সাথী।
আর তো কিছুদিন রয়েছে সেই কোনায়
তারপর উৎপাটন হবে
হয়ে যাবে ধরিত্রীর স্বাক্ষী।