বর্তমান আজব দুনিয়ায় একটি গজব রোগ
       ইহা দেয়না ব্যথা,
               নাহি কোনো উপসর্গ
   না এটা ছোঁয়াচে,
             না যায় বাতাসে;
         না খায় রক্ত,
           নাহি ঝরায় রক্তক্ষরণ।
  বাস্তব সময়ের গভীর সমস্যা!
     ধনীরা করে যেটা
              গরীবেরা খায় সেথা।
ইহা আর অন্য কিছুই নয়,
    এটা হল আড় চোখা।
না চড়ে বুকে পিঠে,
         না দেয় মারপিটে
শুধু ঈশারায় ঈশারায় দেখায় পাশে
ইহার বড় আবদার
       চোখে চোখ মিলিয়ে একদিন করবে গ্রাস।
   ইহা ধরে'না কোন পত্রিকা,
বুঝেনা কোনো স্থিতি,
কেবল ইংগিতে আধমরা বোবাদের ধোঁকা দিয়ে যায় দেখি।
     এটার রয়েছে এক বেশ গোপনীয়তা
        তালপাতার নৌকায় চড়া ধোঁয়াশা।
  শুনেছি ইহার নাকি কোনো ঔষধ নেই
       বড্ড বাঁচা মুশকিল
তারপর একদিন দেখলাম;
    রেড়িতে করে একটি যুবক গ্রামে ফিরছে।
তার চোখে ইয়া বড় চশমা।
সেও এই রোগের শিকার
   শহুরের জল তার গায়ে লেগেছে।
     চোখ সে ঢেকে রেখেছে,
কিছু বলতে চায়না সে।
আমিও একদা কিনলাম এই চশমা
    দেখি শুধু ব্ল্যাক অ্যান্ড হোয়াইট
বোঝা যায় না তাদের ইংগিত
  দেখায় না কোনো আড়,
      কেবলি নাম ডাকিবার
   বোঝায়'না কোনো ভাষা
       নাহি ধরে চাটুকারিতা।
চশমার অভাব পড়েছে,
    ঘামে ঝরছে পড়ছে।
কিনতু, কতজনই বা লাগাবে চশমা।
      ক'জনেরই বা ঘাড়ে মাথা ঘুচবে।
    তবুও হাল ছাড়ছিনা
এই ভারসাম্যহীন দূর্বোধে কমাব
      এই রোগের বোঝা
   কমাব আড় এর উপোস,
    ঝরিয়ে দেব তাদের এই মুখোশ-
         নিভিয়ে দেব আড় এর রক্তচক্ষু।
অগ্নিগর্ভ এ হয় মৃত্যু আর বদ্ধপরিকর
  অস্তিত্বের ছায়াতে আর নয় যাতাকল।
তারপর আস্তে আস্তে হবে এই রোগ নিস্তেজ
      কমবে তাহার গাঢ়তা
    আর হবেনা আড়'তা
        কিছুকাল বিরাম পাবে চশমাগুলো
  দেখবে দুনিয়া রোগহীন এক নয়া সকাল।