দেখ সেই উড়ন্ত জীবটি,
বসে রয়েছে গাছের ডালে-
তার নেই কোনো নাম;
নেই কোন ঠিকানা।
জন্মের নেই কোনো শংসাপত্র
শুধু আছে একটা প্রমানপত্র
আর সেটা হল সে একটি প্রজাপতি।
উড়ে যাচ্ছে তার সঙ্গীদের সাথে
দূর আকাশপানে।
কখনো বসছে এই ফুলের উপর
আবার কখনো ঐ গাছের শাখায়।
বৃহতের মাঝে যেন একটি ক্ষুদ্র প্রাণ
কিন্তু নয় অবহেলার পাত্র।
অরণ্যের সেই বৃহৎ বনস্পতি
কিংবা শিশিরে ঘেরা ঘাসের ছাউনি
সবকিছুতে মানিয়ে নিয়েছে
তুমি দূর অপ্রতিদ্বন্দ্বী।
তোমার যে ভিন্ন ভিন্ন আকার
রঙ যে ভিন্ন ভিন্ন।
এক এক ঋতুতে এক এক দেশে
উড়ে যাও দুটি পাখা মেলে।
কখনো বর্ষার বৃষ্টিভেজা রোদে অদূরদর্শী হয়ে
কখনো বা বসন্তের মনোরম সুবাসে নতুন পথের সাথী হয়ে।
থাকো তুমি বারো মাসই।
তোমার আগমনীতে হয়ে উঠে শরৎ ঋতু চপল।
খোলা আকাশের নাবিক তুমি
   থাকো তুমি সেই গিরি প্রান্তর।
ছোট্ট ছোট্ট শিশুদের মুখে হাঁসি
        তুমি গার্হস্থ্য পথিক
তোমার সান্নিধ্য পেয়ে মনটা হয় তৃপ্ত
         তুমি বেজায় চিরচঞ্চল।
তুমি সেই ছোট্ট সহচর যে মানিয়ে নাও নিজেকে-
      সকল অবস্থার সাথে।
শৈশবের সকালে হয়ে ওঠো;
কোমল শিশুদের সহোদর
       নানারূপে, নানাপ্রবেশে।
ভ্রমরের সাথে তোমার সর্বদা যুদ্ধ
      ডানাগুলি পাপড়ির ন্যায়।
ফুলগুলি হয়ে ওঠে নবভোর
     যখন তুমি বসে তাদের উপরে।
গোধূলির মুহূর্তে প্রস্থান করো বিহঙ্গের সাথে
             দলে দলে তাদের সমীপে
সারাদিনের হিসেবের পরও নেই তোমার শান্তি
      সন্ধ্যাবেলায় ঘরগুলি হয়ে উঠে মনোরম;
তোমার প্রবেশের লগ্নে।