তোমার দুটি চোখ লাগছে যেন ভারী
এক পলকে একটু ব্যাথা - আরেক পলকে কল্লোল বাহি
দিয়েছে ষড়রিপু সুপ্ত গলায় কাটা ফাঁদ
বিধে দিয়েছে প্রশ্নবান আমার সমীপে
সর্বমত ভরিয়ে দিয়েছে কোলাহল,
ধরা দিয়েছে দুটি নিশ্চুপ প্রাণ।
জানিনা সেই দৃষ্টি কেন করছে চোখ ছলমল
কোথায় যেন মিলে গিয়েছে এক প্রহরে বিদায় নিশি -
গেয়েছে প্রভাতের জয়গান।
আমিত সেই নয় যে উড়িয়ে দেব
মুহুর্তের সেই কথা
সে যেন কিছু বলতে চায় অরূপ বাঁশী খোঁজে।
ভরিয়ে দেবে সেই ক্ষণ
যখন সমবেত হবে জন আলোর সেই ঝলমলে
বিশৃঙ্খলার সেই ঝড়ে,
বলে যাবে সেই গল্প!
হতে পারে সে পুরোনো     আবার কী হবে ধুচ্যার।
কোন্ জায়গায় মোরা মিলেছি    পোড়া মনে আর জায়গা কার ?
সেই লহমার মীমাংসা হতে পারে কোন কুঞ্জন
সে যেন সর্বদা রয়ে যায় ভরা মেঘে চায় গুঞ্জন।
জিজ্ঞাসার কী বাকি থাকে,
যখন সে নিজেই গেছে বিলিয়ে।
হাজার হাজার পথের খাঁজে সুখের চাওয়া দেয়না আর ছাওয়া।
শুধু পলকে জমায়িত হয় স্পর্শহীনতার বাইরে
শারীরিক অবস্থা যে ক্ষণিক অসাড়তা
চোখে চোখে আর ধৌত হয়না না পাওয়ার সেই সৃজন।
আরোগ্য কামনায় মূর্ত সে দেখার দায় কার ?
সুরভিত ছনছন দৃষ্টি নন্দন যে আমাকেই চায়;
মুহুর্তের বিশ্বাস যে ঝরে যায় তার দিকে
কে বলে সে ডাকবে গভীর তন্দ্রায়।
সে এখন নষ্ট হয়ে গেছে,
জন্ম নিয়েছে চলনের খুনসুঁটি-
গুড়িয়ে গুড়িয়ে চলার চেয়ে না তাকানোই ভালো;
যখন সে ঢেকে যায় গোহারের কালো পর্দায়।
রুখবে না কোনো সংহতি তার দৃষ্টিভ্রমে,
তার গীত সে গেয়ে যাক জীবনের রংবদলে।
পৌঁছে গেছে সে নিস্তব্ধ শিখরের ফুলকিতে,
সেখানে সে গুছিয়ে রাখবে না পাওয়ার সে অভিমান।
সামনে যে কঠিন পথ,
          তাই অন্ধকারে নিতেই হবে তার শপথ।
যদি সে আমাকে চায় বলে দেব তার উত্তর
না জাগানোর সেই রাত্রিতে অভিসারের যে প্রহর।
সে আমাকে চাইবেনা,
                ধরবেনা তার মিল,
শুধু সোহাগে গেঁথে চলে যাব
         গড়ব অপ্রতুল মিলনের দিক।