হে মোর ধরণী বিবাদ সভায় সলিল কুশলে
ধারণ করিল প্রলয়,
অস্থির ঈশ্বর হেতু সিংহাসনে বসিয়া সবাই বিচলিত।
পবন হৈল স্থির,
  জল কাগনে চুইয়া চুইয়া শুকাইল।
ব্যাধ নিজ তীর নিজ হৈতে বিদ্ধ হইল।
মৃগয়া করিল সংলাপ।
বিধিবাম চাইল বোম,
নিঝর ঝর্না তার গতিমুখ বদলাইল।
দিকে দিকে ছড়িয়া পড়িয়াছে হাহাকার।
পাহাড় পড়িল ধ্বসে।
আস্ত পর্বতকে একা গিলিয়া যে খাইল।
নদী গিয়াছে চড়া, মৃত সাগরে সবাই ভাসিতে লাগিল।
কী করিবে ঈশ্বর।
বিচক্ষণ মনে যে চুপিসারে বসিয়া রহিল।
ধরণীর ক্রোধ যে অষ্টপ্রহর আরও আরও বাড়িতেছে।
মহাকালের ত্রিনেত্র যে না থমকেও থমকিয়া গিয়াছে।
নিঃশব্দে হইয়াছে পতন, সৃষ্টির ধরা তলে।
গগন রক্ত চক্ষু ধারণ করিয়াছে।
সূর্যের আলো ধাবিত হইয়াছে ইহার উপরে।
পড়ে না বৃষ্টি, শুধুই যে রক্তক্ষরণ।
কেন করিল এইসব ?
কত যুগের এই অস্থিরতা কী এক দিনে উপড়ে ফেলিয়া যায় ?
সৃষ্টি - ধ্বংস চলিল একা হাতে প্রলয়কে থামাইতে।
বলিল থাম, তোরা আজ কাহারো শুনিব না রে।
সবাই প্রস্থান করিল একে অপরে।
সভাসন খালি।
প্রচণ্ড জোরে হাঁটু কাপাইয়া ভাঙিয়া পড়িল আসন।
বড় বড় থাম এক যে এক গুড়িয়া চৈচুর।
ঈশ্বর নিল যে পরীক্ষা।
করিবে আর কী,
আগুন দিয়া নিভাইল যে জল।
একা আসনে নিজ বক্ষে ধারণ করিল প্রলয়কে।
আর বুঝাইয়া দিল,
ঈশ্বর হেতু নহে কোনো বড়।
যতই খেলাও না শক্তি তাহার নিকট একদিন হইবে তাহাতে সমর্পণ।