সেই বিকেলে মনে আছে ছবির ক্যানভাস টি
মৃত অজয়ের স্রোতে বহে শাল পাতার খাঁজে
সাজিয়ে তুমি-
এখনও সেই আগের জায়গায় ভাঙা গ্রিলের পাশে
সদর দরজার ফাঁকে
বসে বসে কেটে দিয়েছে দুই যুগ সুতোয় লুটিয়ে লুটিয়ে
বিবর্ণ কষ্ট গায়ে।
এসেছিলে কুহেলীর ছটা হয়ে তপনের নিদ্রাগমে
ভরা রাতে অন্তবেলায় তোমার ছোঁয়া পেতে।
শুকনো ঢালে দু একটা চুল হয়তো বা ছিঁড়েই গেছে,
তাতে আসে কী ?
তোমার অক্লেশে, সে নিজের নিজেকে গুটিয়ে নিয়েছে
দেখেছে সে দু'প্রস্থের রঙমহলে অষ্টপ্রহরের বেদনা
দেওয়ালের বুক থেমে গিয়েছিল পূর্ণিমার করুন জোঁছনা
এক বিকেলে আর কে শিরচ্ছেদ করবে ?
নগ্ন বহুরূপীতার প্রহরে
সে কী জড়? নয়, তাতে মর্মে মর্মে গেথেছি
তার সবুজ রন্ধ্রে তোমার বর্ম এঁকেছি।
সে আজ অলক্ষ্যে
দুই যুগের ব্যথার উপশম সে চাইছে।
ভাঙা গ্রিলের ফাঁকে সে এখন রুদ্ধ।
শতাব্দীর শেষ লগ্নে দাড়িয়ে তার জড়তা
এখন বেড়েই চলেছে।
'মৃত স্বর্গের আঁধার হয়ে তার পরিণাম কী'
সে খুঁজছে।