আজই তো সেই রাত
ছেয়ে রয়েছে পূর্ণিমার সেই আকাশটা,
সম্ভাবনার করুন রাতে।
বলার যে কোনো অবকাশ নেই
সেই আকাশের চাঁদটা গাঢ়,
গাঢ় থেকে আরো লাল।
বছরের শেষ রাতে আলোর ঘূর্ণিপাকে
ঘুমিয়ে পড়তে চায় সাগরের অসাধ্য বুকে।
সে স্বপ্ন দেখে,
স্রোতস্বনী সেই লহরী খেলে যাবে তার উপরে
ওর শুষ্ক বুকে নতুন উজান আনবে
বোঝাবে ওর একাকীত্বের বেদনা।
কিন্তু কিভাবে?
ও যখন বেড়িয়ে যেতে চায়,
আটকে ধরে
শুইয়ে পড়তে চায়,
চেপে ধরে।
কারণ সে প্রকাশ্যে এলেই যে তার কালিমা উদিত হবে।
দূষিত হবে সেই একমাত্র রাত।
আমি ওর গণ্ডি পেড়িয়ে চলে তো যেতে চাই-
কিন্তু কীভাবে যাব?
বছরের বাকি কালো রাত যে ওকে কেবলি ডাকে।
ওর যে পিছু ছাড়েনি।
সে শুধু নিজেকে দেখে ময়ূরাক্ষীর সান্দ্র বালুচরে।
আর আমার দিকে চেয়ে।
একটা ক্ষীণ সংলাপ ভেসে উঠেছে কানে।
সে ভাষা ধরেনি কেউ।
আমি বুঝেছি।
ওর মৃত আর্তনাদে বছরও কেঁদেছে।
শুধু আমিই কাদিনি।
জানি একদিন সেও হয়ে উঠবে;
আঁধারের দশা কাটিয়ে
কারোর জীবনে আশার আলো।